সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে ফের বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। সিলেট ও সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। মাঝখানে কয়েকদিন বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় জল নেমে গিয়েছিল। কিন্তু গত দিন দুয়েকের প্রবল বর্ষণের জেরে ওই দুই জেলার বহু এলাকা ফের জলের তলায় চলে গিয়েছে।
গত দু’দিনের বৃষ্টিতে নদ-নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সিলেটের দু’টি উপজেলায় নতুন করে অন্তত ১১টি রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার বানভাসি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মাঝখানে কয়েক দিন বৃষ্টি বন্ধ থাকলেও দু’দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকালও কয়েক দফায় ভারী বৃষ্টি হয় ফলে বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার অনেক এলাকায় জল বেড়েছে। সরেজমিনে দেখা গিয়েছে, নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় জল বেড়েছে। গত কয়েকদিনে উপজেলার অধিকাংশ রাস্তাঘাটের জল নেমে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শাহ মহম্মদ জামালউদ্দিন। কিন্তু তাঁর কথায়, “গত দু’দিনের বৃষ্টিতে আবারও জল বাড়ছে। নতুন করে উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামেও জল ঢুকতে শুরু করেছে।”
[আরও পড়ুন: প্রদীপের নিচে অন্ধকার! পদ্মা সেতুর সাফল্যের ‘ধাক্কায়’ রুটিরুজির দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ী ও হকাররা]
সিলেটের জেলা প্রশাসক মহম্মদ মুজিবর রহমান জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ৪৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৭ হাজার ১৭৬ জন রয়েছেন। বন্যায় ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৩৩। সুনামগঞ্জ জেলার আধিকারিক মহম্মদ শামসুদ্দোহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, মাঝখানে জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। এখন যেহেতু আবার বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল কিছুটা বাড়ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পূর্বাভাস নেই। বৃষ্টি হওয়ায় পানি কিছুটা বাড়লেও তা সব এলাকায় নয় বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে বন্যায় ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৪২ জনের। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় আটকে পড়েন বহু মানুষ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চললেও সমস্ত জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকারীদের।