প্রসূন বিশ্বাস: আইএসএলের অনিশ্চিয়তার মাঝে আই লিগের টেন্ডারের ঘোষণা করল ফেডারেশন। আইএসএল আয়োজন নিয়ে যখন ল্যাজেগোবরে অবস্থা ভারতীয় ফুটবল কর্তাদের, ঠিক তখনই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে এআইএফএফের পক্ষ থেকে। তাদের আশা, এর পরে হয়তো আই লিগ ঘিরে অনিশ্চয়তা কাটবে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বিড জমা দিতে হবে। এর পরের দিন, অর্থাৎ ১৪ তারিখ বিড ওপেন করা হবে। আই লিগের মূল পর্বের টেন্ডারের মূল্য রাখা হয়েছে ৪ কোটি টাকা। আই লিগ ২ এবং আই লিগ তিনের টেন্ডারের মূল্য যথাক্রমে ১.২৫ কোটি এবং ৭৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ আই লিগের তিনটি বিভাগ মিলিয়ে মোট ৬ কোটি টাকা টেন্ডার মূল্য রেখেছে ফেডারেশন।
প্রসঙ্গত, আইএসএল নিয়ে ডামাডোলের মাঝে আই লিগ নিয়ে খবর অনেকটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল। ক্লাবগুলির প্রশ্ন ছিল, আই লিগের ক্রীড়াসূচি, দিনক্ষণ প্রকাশ হচ্ছে না কেন? অভিযোগ ছিল, সবাই আইএসএল নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলিও তো শুরু করতে পারছে না ফেডারেশন। এমনকী তারা এআইএফএফ-কে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপের জন্য চাপও দিয়েছে। সম্প্রতি ফেডারেশনের উপর এতটাই বিরক্ত ছিল যে, ফেডারেশনের মিটিংকে বাইপাস করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর মনসুখ মান্ডব্যর সঙ্গে দিল্লিতে আলোচনায় বসেছিলেন আই লিগের ক্লাব প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে আই লিগ আয়োজন নিয়ে তাদের সমস্যা তুলেও ধরেছিলেন তাঁরা।
আসলে আই লিগের অবনমন নিয়ে বেঙ্গালুরু এবং দিল্লির মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তার জন্যই আই লিগের শুরুও পুরো জটিল অবস্থার মধ্যে। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর, ক্যাশের উদ্যোগে আই লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি আই লিগের অবনমনের। শোনা যাচ্ছে, সুবিচার চেয়ে ইন্টার কাশীর মতো বেঙ্গালুরুও ক্যাশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ জানানোর পর, ক্যাশের তরফে সম্ভবত কোনও আপডেট নেই। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার টেন্ডার ঘোষণা করেছে ফেডারেশন। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠছে, আইএসএলের টেন্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর আই লিগের টেন্ডারও ব্যর্থ হবে না তো? সময়ই দেবে এই প্রশ্নের উত্তর।
