সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলের বিড জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সময়সীমা আরও দু'দিন বাড়ানো হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে যে, বেশ কয়েকটি কোম্পানি এখনও বিড জমা দেওয়ার কাগজপত্র তৈরি করতে পারেনি। তাদেরই অনুরোধে সময়সীমা বাড়ল আরও আটচল্লিশ ঘণ্টা। পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী ৭ নভেম্বর বিড জমা দেওয়ার শেষ সময় সন্ধ্যা সাতটা। ওই দিনই জানা যাবে আইএসএলের ভবিষ্যৎ। আপাতত বিডে অংশ নেওয়ার আগে ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটির কাছে প্রায় দুশোটি প্রশ্ন লিখিত আকারে পাঠিয়েছিল এফএসডিএল। সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে টেন্ডার কমিটি। এখন দেখার বিষয় আগামী সাত তারিখে আইএসএলের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়াচ্ছে।
আইএসএলের টেন্ডার প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০০টির মতো প্রশ্নমালা তৈরি করে টেন্ডার কমিটির কাছে পাঠায় এফএসডিএল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষার পর এফএসডিএলের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে টেন্ডার কমিটি। এফএসডিএলে যে প্রশ্নগুলি মূলত ছিল, সেগুলিকেই নস্যাৎ করে দিয়েছে আইএসএলের টেন্ডার কমিটি। যেমন বছরে ৩৭.৫ কোটি দেওয়ার প্রসঙ্গে জানিয়েছে, সেটা দিতেই হবে। অবনমন নিয়ে এফএসডিএল প্রশ্ন তুললে সেই প্রসঙ্গেও টেন্ডার কমিটি তাদের উত্তরে জানিয়ে দিয়েছে, শীর্ষ আদালত নির্দেশে দিয়েছে, দেশের এক নম্বর লিগে চ্যাম্পিয়নশিপ এবং রেলিগেশন দু’টোই থাকবে। ফলে আইএসএলে তা রাখতে টেন্ডার কমিটি বাধ্য। এরপর ভিএআর থেকে টেলিকাস্ট রাইটস-বিভিন্ন ইস্যুতে এফএসডিএলকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ক্ষেত্রে গভর্নিং কাউন্সিল বসে সিদ্ধান্ত নেবে। যে গভর্নিং কাউন্সিলে ফেডারেশনের পক্ষে থাকবেন দু’জন প্রতিনিধি। ব্রডকাস্টারের পক্ষে একজন। ক্লাবেদের পক্ষে একজন এবং কোম্পানির পক্ষে একজন। এছাড়া ক্রীড়াসূচি থেকে আরও নানা ব্যাপারে এফএসডিএলের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে টেন্ডার কমিটি। যে উত্তরগুলি স্বাভাবিকভাবেই এফএসডিএলের জন্য খুব একটা সুখকর নয়।
কিন্তু এটাও ঠিক ভারতীয় ফুটবলে থাকতেই এসেছে এফএসডিএল। এখনও ভারতীয় ফুটবলে আর্থিক বিনিয়োগে ভীষণভাবে আগ্রহী তারা। যে কারণে, আইএসএল চালানোর জন্য যে ডিপার্টমেন্টগুলি ছিল, সব ডিপার্টমেন্ট এখনও বহাল রয়েছে। শোনা যাচ্ছে ক্রীড়াসূচিও তৈরি করা আছে। কিন্তু সম্পূর্ণ স্বার্থের বিরোধী অবস্থানে গিয়েও তারা বিনিয়োগ করবে এমনটাও নয়। ফলে ৭ নভেম্বরে টেন্ডারের আবেদনপত্র খোলা হলে, তাতে বিডার হিসেবে এফএসডিএলের নাম থাকবে কি না, এ ব্যাপারে ফেডারেশন কর্তারাও এখনও নিশ্চিত নন। এফএসডিএল নিয়ে এতটা আলোচনার কারণ, আইএসএলের টেন্ডার নিয়ে এখনও পর্যন্ত অন্য আবেদনকারীদের মধ্যে সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখা যায়নি। এফএসডিএল যেরকম টেন্ডারের খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রচুর প্রশ্ন করেছে, অন্য কোম্পানিগুলির সেরকম কোনও বিশেষ প্রশ্ন নেই।
