প্রসূন বিশ্বাস: নামতে নামতে ফিফা ক্রমতালিকায় ১৪২-এ চলে গিয়েছে ভারত। ফিফার ক্রমতালিকায় ভারতীয় দলের যে 'অধঃপতন', তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে দেশের প্রাক্তন ফুটবলাররা। ভারতীয় দলে কীভাবে উন্নতি সম্ভব, তা নিয়ে কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জানিয়েছেন 'ব্লু টাইগার্স'দের হেডকোচ খালিদ জামিল। শুনিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির একাধিক পরিকল্পনার কথাও।
সম্প্রতি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। নীল জার্সির শক্তি বাড়াতে জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে ডাক পেয়েছিলেন দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার অবনীত ভারতী এবং রায়ান উইলিয়ামস। শনিবার এআইএফএফ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে ভারতীয় দলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। ভবিষ্যতে কি ভারতীয় দলে কি আরও ওসিআই খেলোয়াড়দের দেখা যাবে? খালিদের জবাব, "আমরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের খুঁজছি যাদের পাসপোর্ট আছে। বেশ কয়েকজন আইওসি খেলোয়াড়ের খোঁজও আছে। আশা করছি, পরের শিবিরেই ডাকা হবে তাদের কয়েকজনকে।"
আইএসএলে বিদেশি কোটা কমানো হবে কি না, এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি খালিদ। তবে জাতীয় দলে স্ট্রাইকারের অভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, "স্ট্রাইকারদের আরও বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। ওরা যত বেশি খেলবে, তত ভালো হবে। মনে রাখতে হবে, এই মরশুমে এখনও আইএসএল শুরু করা যায়নি। যত বেশি ম্যাচ খেলবে, তত বেশি তীক্ষ্ণ থাকবে ওরা। তবে এটা বলছি না যে, আইএসএল হচ্ছে না বলে খারাপ খেলছি আমরা। আমি এখানে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। কল্যাণ স্যর সহযোগিতা করেছেন। আইএম বিজয়ন, শাব্বিরদা (আলি) প্রত্যেকে আমাকে সমর্থন করেছেন। কারণ বাংলাদেশ ম্যাচের পরে মনোবল ভেঙে গিয়েছিল। তাঁরা সব সময় আমাকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁদের দোষ দিতে পারি না। সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে।"
সন্দেশ জিঙ্ঘানদের হেডকোচ বলছেন, "যত বেশি প্রীতি ম্যাচ খেলব আমরা, তত ভালো। র্যাঙ্কিংয়ের দিকে না তাকানোই ভালো। ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। সবাই মিলে ভাবনাচিন্তা করে আমাদের শক্তিশালী দল তৈরি করতে হবে।" উল্লেখ্য, খালিদ জামিল আসার পর কাফা কাপে তৃতীয় হলেও এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ভারত। ১৪ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হেরে ভারত এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘নিয়মরক্ষার’ ম্যাচেও জয়ের মুখ দেখেননি সন্দেশ জিঙ্ঘানরা।
