সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলা শেষের বাঁশি বাজতেই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। কারও চোখে জল, কেউ আনন্দে পাগলপারা। হবে নাই বা কেন, গত দেড় দশকে ট্রফি জয়ের একাধিক সুযোগ এসেছে। দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে টটেনহ্যাম হটস্পার, প্রিমিয়ার লিগেও রানার্স আপ হয়েছে। কিন্তু ট্রফি আসেনি। অবশেষে ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। উয়েফা ইউরোপা লিগের খেতাব জিতল টটেনহ্যাম।
ভারতীয় সময় বুধবার গভীর রাতে স্পেনের বিলবাওয়ের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংলিশ ফুটবলের দুই 'দৈত্য'। একটি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, যারা কিনা নিজেদের স্বত্ত্বা খুঁজছে। আর একটি টটেনহ্যাম। যারা বরাবর 'একটুর জন্য' ট্রফি হাতছাড়া করার জন্য রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এই দুই ক্লাবের জন্যই বুধবার রাতের ম্যাচটা মরশুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। কারণ প্রিমিয়ার লিগে দুই ক্লাবের অবস্থাই সঙ্গিন। এই ইউরোপা লিগ জিতলে যেমন ক্লাবে ট্রফি আসবে তেমনই খুলে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাস্তা।
এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় দুদলই বড় সাবধানে খেলল। ভূরি ভূরি মিস পাস, মাঝমাঠে নিজেদের মধ্যে বল চালাচালি করেই কাটল বেশিরভাগ সময়। বলের দখল ইউনাইটেডের হাতে বেশিরভাগ থাকলেও খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ৪২ মিনিটে অনবদ্য গোল করে স্পারসকে এগিয়ে দেন ব্রেনান জনসন। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ইউনাইটেড খোঁচা খাওয়া বাঘের মতোই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল টটেনহ্যামের উপর। একের পর এক আক্রমণ, একের পর এক শট। গোলের পর সেভাবে বলের দখলই পায়নি টটেনহ্যাম। কিন্তু ইউনাইটেড ৮৪ শতাংশ বলের দখল রেখেও কাজের কাজটা করতে পারেনি। গোটা ম্যাচে একবারও টটেনহ্যামের জালে বল জড়াতে পারেনি রেড ডেভিলরা। ম্যাচ শেষ হয় ১-০ গোলে।
২০০৮ সালে শেষবার ট্রফি জিতেছিল টটেনহ্যাম। ১৭ বছরের খরা কাটালেন সন হিউং মিনরা। মহাদেশীয় স্তরে স্পারসের শেষ ট্রফি সেই ১৯৮৪ সালে। অর্থাৎ ৪ দশক বাদে মহাদেশীয় স্তরের ট্রফিও জিতল তারা। অন্যদিকে ইউনাইটেড যেন আরও অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে। এ বছরও তাদের মরশুম শেষ হল ট্রফিহীনভাবে। প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলেও তারা সেই তলানিতেই।
