সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ জিঙ্ঘানরা পারেননি। কিন্তু ছোটরা করে দেখাল। কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেজের হাত ধরে এবার কোয়ালিফায়ার্সের বৈতরণী পার করল ভারত। অনূর্ধ্ব-১৭ এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে 'ব্লু কোল্টস'রা। এ বছর 'সাফ'-এর মঞ্চেও সাফল্য এসেছিল। ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল তারা। আর রবিবার আহমেদাবাদের ইকেএ এরিনায় শক্তিশালী ইরানকে ২-১ গোলে হারিয়ে এই নিয়ে দশমবার এই প্রতিযোগিতায় খেলার ছাড়পত্র পেল ভারতের জুনিয়র দল।
যাত্রাটা একেবারেই সহজ ছিল না। প্রথম ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়েছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে ১-১ ড্রয়ের পর চাইনিজ তাইপেইকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অসাধারণ কামব্যাক। তারপর আবার হোঁচট। লেবাননের কাছে দু'গোলে হেরে যায় ভারতের জুনিয়ররা। অন্যদিকে, ভারতের থেকে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে ছিল ইরান। তাই মূলপর্বে যেতে গেলে ইরানকে হারানো ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা ছিল না ভারতের কাছে।
১৮ মিনিটেই আমিররেজা ভ্যালিপুরের গোলে এগিয়ে যায় ইরান। গোল খাওয়ার পর দমে যায়নি ভারত। মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকে বিবিয়ানোর ছেলেরা। কাঙ্ক্ষিত গোল কিছুতেই আসছিল না। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার সামান্য আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে ভারতকে সমতায় ফেরায় অধিনায়ক দাল্লালমুওন গাংতে। প্রথমার্ধের ফলাফল থাকে ১-১।
ছবি এআইএফএফ
বিরতির পর নতুন উদ্যমে ফিরে আসে ব্লু কোল্টস। ৫১ মিনিটে গুনলেইবা ওয়াংখেইরাকপামের চিত্তাকর্ষক গোলে এগিয়ে যায় ভারত। গোলের পর তরুণ মিডফিল্ডার তার আদর্শ লিওনেল মেসিকে আবেগঘন শ্রদ্ধা জানায়। বাকি সময়ে ইরান গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও সজাগ ছিল ভারতের রক্ষণ। গোলরক্ষক রাজরূপ সরকারের কথা এক্ষেত্রে আলাদাভাবে বলতেই হয়। একাধিক গোল বাঁচিয়েছে সে। এই জয়ের পর ডি গ্রুপে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। ইরানের পয়েন্টও সমান। এএফসি নিয়ম অনুসারে, হেড-টু-হেডে এগিয়ে ভারত গ্রুপ ডি'তে থেকে শীর্ষে থেকে এশিয়া কাপের মূলপর্বে পৌঁছল ভারত।
এবার সিনিয়রদের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি সুনীল ছেত্রীরা। সেখানে ভারতের জুনিয়র দলের প্রতিযোগিতায় গ্রুপ শীর্ষে থেকে মূলপর্বে যাওয়াটা যথেষ্টই কৃতিত্বের। ২০২৬ সালে সৌদি আরবে বসবে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের আসর। এর আগে ১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালে এশিয়ান কাপ খেলেছে ভারত। প্রতিযোগিতায় তাদের সেরা ফলাফল ২০০২ এবং ২০১৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনো।
