সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফি পেল ইন্টার কাশী। কিন্তু সত্যি কোন ট্রফিটা পেল আন্তোনিও হাবাসের দল? কারণ 'আসল' ট্রফিটা তো চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে। সে যাই হোক না, আই লিগ শেষ হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর ট্রফি পেল ইন্টার কাশী। সেই উৎসবে শামিল হলেন ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার। এমনকী যাঁরা খানিক আগে ইন্টারকে হারিয়েছে, তাঁরাও মেডেল গ্রহণ করলেন।
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কারা, তা মাঠের পয়েন্টের থেকেও বেশি নির্ধারিত হয়েছে আইনি জটিলতার মাধ্যমে। চার্চিল ব্রাদার্স, ফেডারেশন, ইন্টার কাশীর মধ্যে দীর্ঘ আইনি দড়ি টানাটানির পর ক্রীড়া আদালত থেকে কাশীকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। গত মাসে ফেডারেশনের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা আসন্ন আইএসএলে খেলতে পারবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি হাতে পায়নি ইন্টার কাশী। কারণ চার্চিলের কর্ণধার আলেমাও চার্চিলের হাতে যে ট্রফি ফেডারেশন তুলে দিয়েছিল, সেটা তিনি ফেরত দিতে রাজি নন।
এদিকে নতুন মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। গোয়ায় সুপার কাপ চলছে। সেখানে গ্রুপ বি'তে ইন্টার কাশীর শেষ ম্যাচ ছিল জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ০-২ গোলে হারে ইন্টার। তারপর তাদের হাতে আই লিগের ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয়, সেই উৎসবে শামিল হলেন ইস্টবেঙ্গলের এডমুন্ড লালরিন্দিকাও। কারণ, তিনি গতবছর ইন্টারের সদস্য ছিলেন। ফলে তাঁর মেডেল প্রাপ্য। একই ভাবে মেডেলের দাবিদার সার্থক গোলুই ও নিকোলা স্টোজানোচিক। তাঁরা এখন আবার খেলেন জামশেদপুর এফসি'তে। অর্থাৎ যাঁরা এদিন ইন্টার কাশীকেই হারাল। আর তারপরই ইন্টারের হয়ে সেলিব্রেশন। মেডেল পেলেন প্রবীর দাসও। যিনি গতবারের দলে ছিলেন না। তিনদিন আগে ইন্টারে যোগ দিয়ে মেডেলও পেয়ে গেলেন বঙ্গ ডিফেন্ডার।
