মহামেডান: ২ (সাইনি, ফানাই)
চেন্নাইয়িন এফসি: ২ (লালডিনপুইয়া, ব্রামবিলা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়! ম্যাচের সংযুক্ত সময় পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে ছিল মহামেডান। তারপর যেন মিরাক্যাল। সংযুক্ত সময়ে জোড়া গোল। ২-২ গোলে ড্র হল ম্যাচ। সাদা-কালো শিবির নিশ্চিত হারা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেয়ে গেল।
ম্যাচের শুরুটা এদিন মহামেডান করেছিল একরাশ হতাশা নিয়ে। পেনাল্টি মিস, ভুল পাস, ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া। সবই এদিন করলেন কাশিমভরা। ঘরের মাঠে ম্যাচের ১০ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মহামেডান। দুর্দান্ত গোল করে চেন্নাইয়িন এফসিকে এগিয়ে দেন লালডিনপুইয়া। এরপর ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল মহামেডান। কিন্তু পেনাল্টি স্পট থেকে সোজা গোলরক্ষকের হাতে দুর্বল শট মেরে সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিলেন কাশিমভ। সেই পেনাল্টি মিসের পরই খেলা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে মহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও এক গোল হজম করতে হয় সাদা-কালো ব্রিগেডকে। এবার গোল করেন ব্রামবিলা।
জোড়া গোল খাওয়ার পর কামব্যাক করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মহামেডান। তবে ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোনও গোল পায়নি তারা। সংযুক্ত সময়ে প্রথমে গোল করে মহামেডান শিবিরে আশার সঞ্চার করেন সাইনি। তার মিনিট তিনেক বাদে ফের পেনাল্টি পায় সাদা-কালো শিবির। এবার আর স্পট থেকে ভুল করেননি অভিজ্ঞ ফানাই। ফলে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে থাকা মহামেডান খানিক অপ্রত্যাশিতভাবেই এক পয়েন্ট পেয়ে গেল চেন্নাইয়িন ম্যাচ থেকে।
এদিন ম্যাচের ৩৭ মিনিটে হঠাৎ আঁধার নেমে এসেছিল কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে। চেন্নাইয়িন এফসির গোলপোস্টের দিকের একটি বাতিস্তম্ভ নিভে গিয়েছিল। অন্ধকারের জন্য মিনিট দুয়েক খেলাও বন্ধ রাখতে হয়েছিল। যদিও সেসময় বাকি ৩টি বাতিস্তম্ভের আলো জ্বলায় খালি চালু করে দেন রেফারি। আট মিনিট বাদে সবকটি বাতিস্তম্ভই জ্বলতে শুরু করে। এদিন যেমন মহামেডানের ভাগ্যাকাশের আঁধার বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, তেমনই স্থায়ী হয়নি মাঠের আঁধারও।