ইস্টবেঙ্গল: ২ (তালাল, ডেভিড)
গোয়া: ৩ (বোরহা হ্যাটট্রিক)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃসময় কিছুতেই কাটছে না ইস্টবেঙ্গলের। টানা দুম্যাচ হেরে গোয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্লেটন সিলভারা। দলে চোট-আঘাতের সমস্যা। সেখান থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছিল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে দুরন্ত ফুটবল হয়তো আশা দিত লাল-হলুদ ভক্তদের। সেটা এদিনও হল না। শেষ মুহূর্তের দুরন্ত লড়াইয়েও গোয়ার কাছে হারতে হল কুয়াদ্রাতের দলকে। ম্যাচের ফলাফল গোয়ার পক্ষে ৩-২।
এদিন গোয়ার বিরুদ্ধে কুয়াদ্রাত যে টিম নামিয়েছিলেন, তা আশ্চর্য করার মতো। অবশ্য দলে চোট-আঘাতের সমস্যায় তাঁরও হাত-পা বাঁধা। তার উপর আগের ম্যাচে গোলকিপার প্রভসুখন গিলের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। এদিন তেকাঠির তলায় ফিরলেন অভিজ্ঞ দেবজিৎ। আক্রমণভাগে ফিরলেন পুরনো মুখ ক্লেটন সিলভা। তবে চমক দিয়ে কুয়াদ্রাত মাঝমাঠে খেলালেন হেক্টর ইউস্তেকে। সাইড ব্যাকে খেললেন সৌভিক চক্রবর্তী।
স্পষ্টতই ডিফেন্স শক্তিশালী করার জন্যই ছক সাজিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। তাতেই-বা লাভ হল কোথায়? ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। আর দুটো গোলই করলেন লাল-হলুদের প্রাক্তনী বোরহা হেরেরা। ১৩ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে আনোয়ারকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান ড্রাকিচ। তিনি যে নীচু ক্রসটা রাখলেন তা কোনও মতে বাইরে ঠেলে দেন দেবজিৎ। কিন্তু পিছন থেকে যখন বোরহা এগিয়ে আসছিলেন, তাতে লাল-হলুদের কোনও ডিফেন্ডারই কভার করেনি। জালে বল জড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তিনি।
২০ মিনিটের দ্বিতীয় গোলটির দায় হিজাজি মাহেরের। বিপদহীন একটা বল নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করলেন। তার পর তুলে দিলেন বরিসের পায়ে। তাঁর অ্যাসিস্ট থেকে গোয়াকে ফের এগিয়ে দিলেন বোরহা। অবশ্য দ্বিতীয় গোলটা খাওয়ার পর যেন একটু হুঁশ ফেরে ইস্টবেঙ্গলের। সক্রিয় হয়ে ওঠেন তালালরা। যার ফল পাওয়া গেল ২৯ মিনিটের মাথায়। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন তালাল। গোয়ার ডিফেন্ডার নিম দোর্জি তাঁকে আটকালে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। তালালের পেনাল্টি থেকেই এক গোলের ব্যবধান কমায় তারা। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল গোয়া।
স্বাভাবিকভাবেই আশা করা গিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে আরও তেড়েফুঁড়ে খেলবেন ক্লেটনরা। সেই প্রত্যাশা অবশ্য মাঠে খুব একটা পূরণ হতে দেখা যায়নি। টানা আক্রমণ চালিয়ে যান বরিস-বোরহারা। একাধিক গোলে এগিয়েও যেতে পারত গোয়া। আর সেটাই হল ৭০ মিনিটে। এবারও সেই বোরহা। বাঁদিক থেকে যখন বল নিয়ে ঢুকছেন, তার আশেপাশে ইস্টবেঙ্গলের কোনও ডিফেন্ডার নেই। অনায়াসে হ্যাটট্রিক করে গেলেন তিনি। তার পরই রেড কার্ড দেখেন গোয়ার ম্যাকহিউ। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোল ইস্টবেঙ্গলের। ডেভিডের গোলে ব্যবধান কমায় লাল-হলুদ। তাতেও শেষরক্ষা হল না।
এদিন হ্যাটট্রিক হল ইস্টবেঙ্গলেরও। তবে সেটা হারের। টানা তিন ম্যাচ হারার পর ইস্টবেঙ্গল চলে গেল লিগ টেবিলের বারো নম্বরে। এখান থেকে কামব্যাকের উপায় কি কুয়াদ্রাত জানেন? সেটা তো সময়ই বলবে।