দুলাল দে: প্যালেস্তাইন ডিফেন্সিভ মিডিও মহম্মদ রশিদকে সই করিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল। শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে পাওয়ার বিষয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে কোনও সমস্যাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি লাল-হলুদের সামনে। এক বছরের জন্য লাল-হলুদ জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে এই ডিফেন্সিভ মিডিওকে। গত মরশুমে তিনি খেলেছেন ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব পার্সেবাসা সুরাবায়াতে। ক্লাবের হয়ে ৩২ ম্যাচে ছয় গোল করেছেন রশিদ। শুধু ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেই নন, পাশাপাশি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও খেলতে পারেন এই বছর ঊনত্রিশের প্যালেস্তাইন ফুটবলারটি। রশিদ আসায় লাল-হলুদের মাঝমাঠের শক্তি বাড়ল তা বলাই যায়।
রশিদের পাশাপাশি সার্বিয়ান স্টপার ইভান মিলদানোভিচও লাল-হলুদের প্রস্তাবে রাজি। তবে তিনি এখনও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আশা করা যায় তাঁরও কলকাতায় আসা সমস্যা হবে না। মিলদানোভিচ এলে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণও মজবুত হবে অনেকটাই। গত মরশুমে তিনি ছিলেন কাজাকিস্তানের ক্লাব টোবল কাস্তানায়। এই দুই বিদেশির পাশাপাশি আরেক বিদেশি মিগুয়েল ফেরেরাও পাকা কথা দিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। মাঝমাঠে মহম্মদ রশিদের পাশে বসুন্ধরা কিংসে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান মিডিও মিগুয়েলকে পেলে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ যথেষ্টই শক্তিশালী হবে। এই তিন বিদেশি নির্বাচন করা হয়েছে কোচ অস্কার ব্রুজোর পরামর্শ অনুযায়ী।
এবার দল গঠনের সময় যথেষ্টই হোমওয়ার্ক করে মাঠে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। দল গঠনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন হেড অফ ফুটবল থংবই সিংটো। কোচ অস্কার ব্রুজোর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তাঁর পছন্দের ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছেন সিংটো। প্রথম পছন্দ না হলে দ্বিতীয় পছন্দ, সেটা না হলে তৃতীয় পছন্দের ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। এবার দল গঠন করতে অর্থ সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছিলেন কর্তা দেবব্রত সরকার।
গত মরশুমে ভালো দল গড়লেও আইএসএলের সুপার সিক্সে পৌঁছতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শুধু তাই নয়, লিগ তালিকার নবম স্থানে অভিযান শেষ করতে হয়েছে তাদের। সাফল্য আসেনি সুপার কাপেও। এবার তাই মরশুমের শুরু থেকেই আরও সতর্ক হয়ে মাঠে নেমেছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করে তাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে পা ফেলছেন। ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে স্পটারদের বিদেশে পাঠিয়ে ভালো মানের ফুটবলারকে আনতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।
