সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই সুপার কাপ। তার আগে অচলাবস্থা কাটাতে মঙ্গলবার কোচ-ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মহামেডান কর্তারা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিজার মানজোকি, ফ্রাঙ্কার মতো বিদেশি-সহ অধিকাংশ সাদা-কালো ফুটবলাররাই। ছিলেন না কাশিমভ ও অ্যালেক্সিস। ওই বৈঠকে ফুটবলাররা জানতে চান ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতির কথা।

ক্লাবের তরফে জানানো হয়, ফুটবলারদের বকেয়া বেতন নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে সুপার কাপের আগে অনুশীলনে নামার অনুরোধ করা হয় ফ্রাঙ্কাদের কাছে। বৈঠকে ফুটবলাররা ক্লাব কর্তাদের কাছে এই মুহূর্তে ন্যূনতম এক মাস বেতন ও দু'মাসের অ্যালাউন্স দাবি করেন। ফুটবলারদের দাবি শুনে কর্তারা দুদিন সময় নিয়েছেন। বুধবার ফের নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবেন মহামেডান কর্তারা। সেখানেই স্থির হবে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ইনভেস্টর শ্রাচি গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারেনি সাদা-কালো কর্তারা। এমন কি এফএসডিএল থেকে পাওয়া চিঠিরও জবাব দিতে পারেনি তারা। এফএসডিএলকে ১১ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে হবে। জানা গিয়েছে, সময় নিয়েই আইনজীবীদের দিয়ে এই চিঠি তৈরি করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এফএসডিএলকে চিঠি দিয়ে ইনভেস্টর শ্রাচি জানিয়ে দিয়েছিল, আশ্বাস মতো শেয়ার না পাওয়ায় মহামেডানের আর দায় নেবে না তারা। এফএসডিএলকে করা ই-মেলে ‘সিসি’ করা হয়েছিল মহামেডান ও এআইএফএফকে।
এহেন পরিস্থিতিতে এফএসডিএলের তরফে আল্টিমেটাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে সাদা-কালো শিবিরকে। বলা হয়, ১১ এপ্রিলের মধ্যে ক্লাবকে জানাতে হবে, আগামী একমাসের মধ্যে তারা স্পনসর জোগাড় করতে পারবে কিনা। তা না হলে আইএসএল থেকে বহিষ্কার করা হবে মহামেডানকে। যদিও মহামেডানের জেনারেল সেক্রেটারি ইস্তিয়াক আহমেদ বলেন, শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে ক্লাব এবং ইনভেস্টর দুপক্ষই প্রায় সহমত। কিন্তু প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে।