দুলাল দে: রক্ষণে সিবিল, মাঝমাঠে রশিদ-মিগুয়েল-ক্রেসপো, স্ট্রাইকারে হামিদ। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও লাল-হলুদকে শুধু ড্র করলেই চলত। অন্যদিকে যাদের ম্যাচটা জিততেই হত, সেই মোহনবাগান নামল রক্ষণে দুই বিদেশি অলড্রেড আর রদ্রিগেজকে নিয়ে। আক্রমণে শুধু জেমি ম্যাকলারেন। এই অবস্থায় ছন্নছাড়া ফুটবলের দায় মূলত একজনের উপরই বর্তায়। মোহনবাগান কোচ মোলিনা অবশ্য 'দোষ' দিয়ে গেলেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। নিজের পছন্দের বিদেশি চেয়েও পাননি, সেটাকেই যেন ঢাল করলেন তিনি।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরক মোলিনা। সবুজ-মেরুনের হেড স্যর বলেন, "আমি প্লেয়ারদের সই করাইনি। করিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। আমি আমার মতামত দিয়েছি মাত্র। সিদ্ধান্ত ওদের। বছরের শুরুতে একজন বিদেশি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার চেয়েছিলাম। যে খেলাটা কন্ট্রোল করতে পারে। কিন্তু আমি পাইনি।"
কিছুদিন আগেই আইএফএ শিল্ড ফাইনাল জিতেছে মোহনবাগান। সেখানেও ডার্বিতে এই বিদেশিরাই ছিলেন। তখন কি বিদেশি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের কথা সর্বসমক্ষে মোলিনা বলেছিলেন? তাহলে কি এটাকে অজুহাত হিসেবে করা হচ্ছে? অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের দুই শক্তিশালী বিদেশির বিরুদ্ধে মাঝমাঠের দখল নিতে হিমশিম খেলেন আপুইয়া, সাহালরা। কিন্তু মোলিনা ম্যাচের পর জানালেন, স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেননি বলেই ব্যর্থতা। তাহলে পেত্রাতোস, কামিংস, রবসনদের কেন বসিয়ে রাখা হল? রবসন মাঝমাঠের দখল নিতে পারেন। কামিংস-পেত্রাতোসরাও প্রয়োজনে ওঠা নামা করতে পারেন। তাঁদের খেলালে হয়তো মাঝমাঠের দখল নিতে পারত মোহনবাগান। এমন একটা ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে মোহনবাগান কোচ মোলিনার রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
