সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরো কাপের লিগের খেলা পৌঁছে গিয়েছে জমাটি পর্যায়ে। প্রতিটি গ্রুপ থেকেই শেষ ষোলোয় ওঠার দাবিদাররা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা যায়, এখনও পর্যন্ত 'টপস্কোরার' কে? উত্তর শুনে কিন্তু চমকে উঠতে হবে। না, রোনাল্ডো-এমবাপেরা নন। এই মুহূর্তে ইউরোর 'টপস্কোরার' সেমসাইড গোল।
এত আত্মঘাতী গোল কি আগে কখনও হয়েছে ইউরোর (Euro Cup 2024) গ্রুপ পর্যায়ে? প্রশ্নটা ওঠা খুব স্বাভাবিক। এখনও পর্যন্ত ২৪টি ম্যাচ হয়েছে ইউরোয়। তার মধ্যে ৬টি গোল হয়েছে আত্মঘাতী। তার পর আছে জর্জিয়ার মিকাউটাতজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রাঞ্জ। তিনজনেই করেছেন দুটি করে গোল।
[আরও পড়ুন: অজিবধের পর রাস্তায় নেমে উৎসব আফগানিস্তানে, ব্র্যাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছন্দে মাতলেন রশিদরাও]
শুরুটা হয়েছিল উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে। সেই ম্যাচে জার্মানি ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ডকে। তাতে ৮৭ মিনিটে আন্তোনিও রুডিগার হেড করে নিজের গোলেই বল জড়িয়ে দেন। দ্বিতীয় আত্মঘাতী গোল ঘটে ফ্রান্স বনাম অস্ট্রিয়ার ম্যাচে। এমবাপের ক্রস অস্ট্রিয়ার ওবারের মাথায় লেগে গোলে ঢুকে যায়। ওই গোলেই ম্যাচ জেতে ফ্রান্স। পর্তুগাল আর চেক প্রজাতন্ত্রের ম্যাচেও একই ঘটনা। এবার 'খলনায়ক' চেকদের হ্রানাক। গোলকিপার বল বাঁচালেও তাঁর পায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। আবার ইটালির বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছিল স্পেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতেছিল নামমাত্র গোলে। তাও এসেছিল ইটালি ডিফেন্ডার কালাফিওরির পা থেকে।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সব ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে দেখানো উচিত’, রোনাল্ডোর অ্যাসিস্টে মুগ্ধ পর্তুগাল কোচ]
এই তালিকায় সর্বশেষ নাম আসবে পর্তুগাল ও তুরস্ক ম্যাচে। জোয়াও ক্যানসেলো বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রোনাল্ডোকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু পর্তুগিজ মহাতারকা পৌঁছনোর আগেই বলের দখল নেন তুরস্কের ডিফেন্ডার আকায়দিন। তার পরের উপহারের জন্য তৈরি ছিল না পর্তুগাল। তিনি খেয়ালই করেননি গোলকিপার লাইন ছেড়ে এগিয়ে এসেছেন। কোনও দিকে না তাকিয়েই ব্যাক পাস করেন আকায়দিন। আর ধীরেসুস্থে বল গোলে ঢুকে যায়। যাকে অনেকেই বলছেন ইউরোর ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য আত্মঘাতী গোল। তবে এখনও ২০২১ সালের ইউরোর রেকর্ড টপাকানো যায়নি। সেবার সব মিলিয়ে ৭টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে।