রিয়াল মাদ্রিদ: ২ (এমবাপে, বেলিংহ্যাম)
বার্সেলোনা: ১ (ফেরমিন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকোর আগে গরমাগরম মন্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছিলেন লামিনে ইয়ামাল। কিন্তু বার্সেলোনার তরুণ তুর্কি যতটা গর্জালেন, ততটা বর্ষালেন না। বরং লা লিগার ম্যাচে তাঁর 'ক্লাস' নিলেন কিলিয়ান এমবাপে। গোল করলেন, বার্সার ডিফেন্সকে সদাব্যস্ত রাখলেন। আর সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে জেতালেন। রিয়ালের হয়ে এমবাপে ছাড়া গোল জুড বেলিংহ্যামের। বার্সেলোনার হয়ে একটি গোল ফেরমিন লোপেজের।
সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ডানদিক থেকে কাট করে ঢুকে ভিনিসিয়াস গোলে শট নিতে গিয়ে পড়ে গেলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। যদিও পরে ভার নিয়ে দেখা যায়, ভিনিসিয়াসই আগে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার বালডের পায়ে মেরেছিলেন। ১৩ মিনিটের মাথায় ফেরমিনের ভুল থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লার দর্শনীয় শটে বল জালে জড়ান এমবাপে। কিন্তু সেটাও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। তবে ২২ মিনিটে আর এমবাপেকে রোখা যায়নি। বেলিংহ্যামের থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে বার্সেলোনার গোলকিপার সেজনিকে পরাস্ত করেন।
কিন্তু ৩৮ মিনিটে কিছুটা খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে সমতা ফেরান ফেরমিন লোপেজ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। বের্নাব্যুতে র্যাশফোর্ডের পাস থেকে ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দেন। যদিও সেই আনন্দ স্থায়ী হল মাত্র ৫ মিনিট। ডান দিক থেকে গতিতে কুন্ডেকে পরাস্ত করে ক্রস তোলেন ভিনি। সেই বল হেডে নামিয়ে দেন মিলিতাও। যেখান থেকে গোল মিস করা কার্যত অসম্ভব। সেই অসম্ভব কাজটা না করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন বেলিংহ্যাম। তারপর অবশ্য রিয়ালের আরও একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। প্রথমার্ধেই ফলাফল ছিল ২-১। বেশিরভাগ সময় জুড়ে রিয়ালের আক্রমণই বেশি ছিল।
রিয়ালের পক্ষে ব্যবধানটা আরও বাড়তেই পারত। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন এমবাপে। ফরাসি তারকার শট বাঁচিয়ে দেন সেজনি। আরও একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা লড়াই করা শুরু করে বার্সেলোনা। লেওয়ানডস্কি, রাফিনহা চোটের জন্য বাইরে। ইয়ামাল একেবারেই নিষ্প্রভ। তবু দ্বিতীয়ার্ধে ফেরান তোরেস ও ইয়ামাল একটু নিচে নেমে আসতে মাঝমাঠের দখল পায় দে ইয়ং, পেদ্রিরা। কিন্তু তার বেশি আর কিছু নয়। মাঝমাঠ থেকে বক্সের আগেই বার্সেলোনার আক্রমণ সীমাবদ্ধ রইল। জাবি আলোন্সোর দলের ডিফেন্স ভাঙার মতো ভেদশক্তি ছিল না তোরেসদের। সবচেয়ে দুরবস্থা ইয়ামালের। ১৮ বছর বয়সেই প্রায় নিজের ছায়া হয়ে পড়ছেন। বার্সেলোনার ডাগআউটে হ্যান্সি ফ্লিকের না থাকাটাও ভোগাল। শেষবেলায় পেদ্রি লাল কার্ড দেখায় আরও চাপ বাড়ল তাদের।
কিন্তু যাই হোক না কেন, রিয়াল এদিন সব দিক থেকেই টেক্কা দিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে। মাদ্রিদের ক্লাবের কোচিংয়ে প্রথম এল ক্লাসিকোতেই জয় পেলেন আলোন্সো। সেই সঙ্গে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে লিগ শীর্ষে জায়গা আরও মজবুত করে ফেলল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
