বিশেষ সংবাদদাতা: তাঁর কোচিংয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলা। এমনকি দলগত প্র্যাকটিস থেকে সম্পূর্ণ দূরে থেকেও ভারতীয় দলকে সেয়ানে সেয়ানে টেক্কা দিয়েছেন তাঁর কোচিংয়ে থাকা রবি হাঁসদারা। সেই সঞ্জয় সেন অত্যন্ত ব্যথিত ভারতীয় ফুটবলের এমন বিবর্ণ ছবি দেখে। তিনি চান, জাতীয় দলের হাল ফেরাতে ভারতীয় কোচদের উপর আস্থা রাখুক ফেডারেশন। প্রস্তাব পেলে তিনিও সুনীল ছেত্রীদের কোচিং করাতে আগ্রহী।
মঙ্গলসন্ধ্যায় এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে হংকংয়ের কাছে হেরেছে ভারত। ফলে এশিয়ান কাপও এখন কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারপর থেকে প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় ফুটবলের এত দুর্দশা কেন? সেই নিয়ে বিস্তারিত বলতে গিয়ে আই লিগজয়ী কোচ বলেন, “আমাদের আত্মসমীক্ষার দরকার আছে। কোচ নির্বাচন, সাপ্লাই লাইন, পরিকাঠামো, সব জায়গাতেই আমরা কিছু ভুল করে ফেলেছি। স্ট্রাইকারের অভাব বা অন্যান্য সমস্যা, এগুলো জেনেই তো কোচেরা দায়িত্ব নেন। আর তারপর বিভিন্ন অজুহাত দেন। ফলাফলের জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা দরকার।"
মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ আরও বলেন, উপযুক্ত পরিকল্পনা ছিল বলেই জর্ডান বা উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। তিনি আরও বলেন, "আমাদের তো তরুণ ফুটবলার তৈরি করতে হবে। সেই জায়গাটাতেই অভাব।" ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়েও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন সঞ্জয়।
হংকং ম্যাচের আগে সন্তোষজয়ী বাংলার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। সেই ম্যাচে হারলেও সঞ্জয়ের ছাত্ররা দারুণ লড়াই করেছিল জাতীয় দলের বিরুদ্ধে। তাই সঞ্জয়ের মতে, “সারা পৃথিবীতে জাতীয় দলের কোচ সেদেশের কোচেরাই হন। সেটার উদাহরণই সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে বিদেশি কোচ নিয়ে ফলাফল শূন্য। ফুটবল সংস্থাগুলোকে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।” ভারতীয় ফুটবলকে এই দুরাবস্থা থেকে টেনে তোলার জন্য ভারতীয় কোচদের উপরেই ভরসা রাখুক ফেডারেশন, এমনটাই চান সঞ্জয়। তবে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখনও তাঁর কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি। যদি প্রস্তাব আসে তাহলে সুনীলদের কোচিং করাতে যথেষ্ট আগ্রহী সঞ্জয়।
