ইস্টবেঙ্গল: ২ (মহেশ সিং, মিগুয়েল)
ডেম্পো: ২ (মহম্মদ আলি, রেন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক সাড়ে দশ বছর পর ফের মুখোমুখি হল ইস্টবেঙ্গল এবং ডেম্পো। মরশুমের প্রথম ট্রফি জেতার লক্ষ্যে সুপার কাপে নেমেছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। সেই লক্ষ্যে তাঁরা প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেলেন। বিদেশিহীন ডেম্পোর বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করল প্রথম এগারোয় পাঁচ বিদেশি নিয়ে শুরু করা ইস্টবেঙ্গল।
ন'বছর আগে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোত থেকে সরে গিয়েছিল ডেম্পো। পাঁচবারের ভারতসেরা ক্লাব কয়েক বছর আগে শুরু করে প্রত্যাবর্তনের লড়াই। একটা-একটা ধাপ হয়ে আপাতত আই লিগে উঠে এসেছে তারা। সেখানে ইস্টবেঙ্গল খেলছে আইএসএল। সুপার কাপে বিদেশিহীন দল নামায় তারা। কিন্তু ক্লাবের অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা গোয়ানিজ ক্লাবের ফুটবলারদের লড়াইকে তারিফ করতেই হয়।
২ মিনিটের প্রথম সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। জাপানি তারকা হিরোশির শিট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ৬ মিনিটে ডেম্পোর গোলরক্ষক আশিস সিবি বিপদ এড়ান। এরপর সিংহভাগ আক্রমণ শানাচ্ছিল লাল-হলুদ। ২৭ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে মহম্মদ আলির গোলে এগিয়ে যায় ডেম্পো। এক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারের আউটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তিনি এগিয়ে এলেন বটে, কিন্তু বক্ষের মধ্যে ধেয়ে আসা বলের ফ্লাইট মিস করলেন। সেই কারণে বলে যে পাঞ্চটা করলেন, তা জোরাল ছিল না। পড়ে পাওয়া চোদ্দ-আনার মতো বল পেয়ে বল ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি ডেম্পোর ফুটবলার। গোলের পর ডেম্পোর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। বেশ চনমনে লাগে কোচ সমীর নায়েকের ছাত্রদের। ৪২ মিনিটে অবশ্য সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন হিরোশি। জাপানি তারকার শট রুখে দেন ডেম্পো গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৩৩ সেকেন্ডের মধ্যেই সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। দূরপাল্লার শট নেন আহাদ। ডেম্পোর গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল সরাসরি চলে আসে নাওরেম মহেশ সিংয়ের কাছে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। ৫৭ মিনিটে ফের গোল। লালচুননুঙ্গার দেওয়া বল থেকে প্রায় শূন্য ডিগ্রি কোণ থেকে বাঁ-পায়ে জাল কাঁপান মিগুয়েল। লাল-হলুদ জার্সিতে বিলম্বিত হলেও প্রথম গোল করলেন ব্রাজিলীয় তারকা। এরপর প্রাধান্য নিয়ে খেলে লাল-হলুদ। কিন্তু নাটক তখনও বাকি ছিল। ৮৯ মিনিটে লক্ষীমণরাও রেনের গোলে সমতায় ফিরল ডেম্পো। এরপর ৫ মিনিট সংযুক্তি সময়ে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এক গোলের লিড যে কখনই সুরক্ষিত নয়, তা এদিন প্রমাণিত হল। ২-২ অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হল খেলা।
