ইস্টবেঙ্গল: ৩ (রশিদ, সিবলি, ক্রেসপো)
পাঞ্জাব এফসি: ১ (রামিরেজ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলতে নেমেছিল একমাসেরও বেশি সময় আগে। মাঝখানে ভারতীয় ফুটবলের উপর দিয়ে বহু ঝড় বয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে ঝড়ের আঁচ সম্ভবত বিন্দুমাত্র এসে পড়েনি ইস্টবেঙ্গলের উপর। অন্তত বৃহস্পতিবার গোয়ার মাটিতে যে ফুটবলটা লাল-হলুদ শিবির উপহার দিল, সেটা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো। শুধু পাঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে হারানোই নয়, যেভাবে ছন্দময় এবং ঝকঝকে ফুটবল ইস্টবেঙ্গল উপহার দিয়ে গেল, সেটা আরও একবার লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে সুপার কাপ জয়ের আশা জাগিয়ে তুলতে পারে।
এদিন ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই দাপট ছিল লাল-হলুদের। আসলে প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি যে অস্কার ব্রুজোর এই ইস্টবেঙ্গলের ধারেকাছেও আসে না সেটা প্রথম মিনিট থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন রশিদ, সিবলিরা। মাত্র ১২ মিনিটেই প্রথম গোল। কর্নার কিক থেকে সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছিল, বক্সের ঠিক বাইরে থেকে অনবদ্য শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রশিদ। তাতে অবশ্য খানিকটা দোষ পাঞ্জাবের গোলরক্ষকেরও ছিল। যদিও ইস্টবেঙ্গলের সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় পাঞ্জাব। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন ইস্টবেঙ্গলের বিপিন সিং। খেলার গতির সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে পেনাল্টি স্পট থেকে গোল শোধ করে দেন পাঞ্জাবের রামিরেজ। অবশ্য প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফের লিড পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আবারও সেই কর্নার কিক, আবারও গোলরক্ষকের ভুল। এবার পাঞ্জাবের জালে জড়িয়ে যায় কেভিন সিবলির হেডার।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার গতিতে বিশেষ বদল আসেনি। পালটা আঘাত হানার সুযোগই পায়নি পাঞ্জাব। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে সেভাবে বেগে ফেলতে পারেননি রামিরেজরা। বরং ৭১ মিনিটে আরও একটি গোল করে ইস্টবেঙ্গলের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন অধিনায়ক ক্রেসপো। বস্তুত, ওই পেনাল্টিটা বাদ দিলে গোটা ম্যাচে কোনওসময় মনে হয়নি ইস্টবেঙ্গল চাপে পড়তে পারে।
তবে এত ভালো খবরের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের জন্য চিন্তার কারণ কোচ অস্কার ব্রুজোর লালকার্ড। দ্বিতীয় গোলের পর অতিমাত্রায় সেলিব্রেশনের জন্য লালকার্ড দেখানো হয়েছে তাঁকে। ফলে ফাইনালে কোচকে ডাগ আউটে পাবে না লাল-হলুদ শিবির। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ হবে এফসি গোয়া এবং মুম্বই সিটির মধ্যকার জয়ী দল।
