সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশনের এক খবরে তোলপাড় হয়েছিল সংবাদমাধ্যম। জানা যায়, সেদেশের ৫৭১ রেফারির মধ্যে ৩৭১ জন রেফারি জুয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। সরাসরি বাজিতে অংশ নেওয়ার দায়ে ১৪৯ রেফারি ও সহকারী রেফারিকে বরখাস্তও করা হয়। আর এখন একাধিক রেফারি এবং ক্লাবকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সুপার লিগের ক্লাবকর্তা-সহ আটক হয়েছেন ১৮ জন।
শুক্রবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফুটবল বেটিং এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ১৭ জন রেফারি এবং একজন সুপার লিগ ক্লাবের সভাপতি-সহ ২১ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইস্তাম্বুলের প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, ১২টি শহরে অভিযান চালানো হয়। ২১ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে ১৮ জনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বের অপব্যবহারের অভিযোগ। কেবল তাই নয়, ম্যাচের ফলাফলে কারসাজি থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একজন তুরস্কের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ক্লাবের সভাপতি, একজন প্রাক্তন ক্লাব মালিকও। সম্প্রতি সেদেশের ফুটবল সংস্থার সভাপতি ইব্রাহিম হাসিওসমানোলু জানিয়েছিলেন, তাঁরা একটি অন্তর্তদন্ত চালিয়েছেন। যার ফলাফল ভয়াবহ। তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তুরস্কের ৫৭১ জন পেশাদার রেফারির মধ্যে ৩৭১ জন জুয়ার সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন অনলাইন জুয়া সংস্থায় তাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এদের মধ্যে ১৫২ জন তো সরাসরি ও নিয়মিত জুয়া খেলেন।
একজন রেফারি ১৮০০০ বারের বেশি জুয়া পর্যন্ত খেলেছেন। আর ৪২ জন ১,০০০-এরও বেশি ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন। গত পাঁচবছর ধরে এই ঘটনা ঘটে চলেছে। ওই রেফারিদের তিন মাস থেকে একবছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে। আর এই আবহে অভিযান চালিয়ে আটক প্রক্রিয়া শুরুও করেছে তুর্কি প্রশাসন। হাসিওসমানোলু বলেন, "তুর্কি ফুটবলে নৈতিক সংকট। পরিকাঠামো বলে কিছু নেই। তুর্কি ফুটবলের মূল সমস্যা হল নীতিগত সমস্যা। এমন কোনও রেফারি নেই, যিনি বেতন পাননি। তাঁদের এ কথা জিজ্ঞেস করেও দেখতে পারেন। কেউ যদি বলেন, বেতন পাননি, আমি ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করব। বেতনও বাড়ানো হয়েছিল।"
