সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ দফার ম্যাচে যত নজর ছিল দুই মহা মোকাবিলার দিকে। একদিকে লিভারপুলের মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ, অন্যদিকে গতবারের চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সাঁ জাঁর সামনে বায়ার্ন মিউনিখ। সেখানে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতল লিভারপুল। আর ফ্রান্সে গিয়ে দশ জনেও ২-১ গোলে জিতল বায়ার্ন মিউনিখ।
অ্যানফিল্ডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রিয়ালের লড়াইয়ের গুরুত্ব ছিল মাঠের বাইরেও। প্রাক্তন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড ফিরলেন পুরনো ক্লাবের মাঠে। বদলি হিসেবে নেমে একরাশ ধিক্কার সহ্য করতে হল। রিয়ালের কোচ জাবি আলোন্সোও লিভারপুল প্রাক্তনী। তিনিও হেরে মাঠ ছাড়লেন। নামমাত্র গোলে স্পেনের ক্লাব হারলেও ব্যবধানটা অনায়াসের বাড়তে পারত। একা কুম্ভ হয়ে রক্ষা করলেন লস ব্ল্যাঙ্কোসদের গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া। অন্তত ৮টা গোলমুখী শট বাঁচিয়েছেন। তার মধ্যে তিনটি তো 'পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ' থেকে। ৬১ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের জোরালো হেডার ছাড়া তাঁকে পরাস্ত করা যায়নি।
তবে রেডস সমর্থকদের ক্ষোভ, নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। হাফটাইমের আগে রিয়াল মিডফিল্ডার চুয়ামেনির হাতে বল লাগে। প্রথমে বক্সের বাইরে ভেবে রেফারি ফ্রি কিক দেন। পরে 'ভারে' দেখা যায়, সেটা বক্সের ভিতরে ছিল। কিন্তু 'ন্যাচারাল পজিশন' ধরে পেনাল্টি দেননি রেফারি। অথচ অন্য ম্যাচে একই ধরনের ঘটনায় স্লাভিয়া প্রাহার বিরুদ্ধে পেনাল্টি পেয়েছে আর্সেনাল। বুকায়ো সাকার সেই পেনাল্টি ছাড়াও মিকেল মেরিনোর জোড়া গোলে ইংল্যান্ডের ক্লাব ৩-০ গোলে জিতেছে।
অন্যদিকে প্যারিসে গিয়ে পিএসজি'কে হারাল জার্মানির ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। জোড়া গোলে নায়ক লুইস দিয়াজ। অবশ্য ভিলেনও হয়ে যেতে পারতেন তিনি। ৪ মিনিটে ও ৩২ মিনিটে পিএসজি ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগে গোল করেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার। কিন্তু হাফটাইমের সংযুক্তি সময়ে বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। পরের অর্ধে লুইস এনরিকের দল একটি মাত্র গোল শোধ করে। জোয়াও নেভেস ছাড়া কেউ জালের খোঁজ না পাওয়ায় পিএসজি হারল ১-২ গোলে। আপাতত লিগ শীর্ষে বায়ার্ন ও আর্সেনাল।
