সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহানাটকীয় লড়াই। এক ম্যাচে ৯ গোল। অনবদ্য স্কিল, বিশ্বমানের সব গোল। পিছিয়ে পড়ার পর কামব্যাকের চেষ্টা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই। আদর্শ ফুটবল ম্যাচে যা যা দর্শকরা দেখতে চান, নেশনস লিগের সেমিফাইনালে সেই সব মশলাই উপহার দিল ফ্রান্স এবং স্পেন। শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসল ইউরোপের চ্যাম্পিয়নরা। ৫-৪ গোলে এমবাপেদের হারিয়ে উয়েফা নেশনস কাপের ফাইনালে স্পেন। সেমিফাইনালে ফের ম্যাজিক দেখালেন ইয়ামাল।
বছরখানেক আগে ইউরো সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও স্পেন। সেবারও ইয়ামাল ম্যাজিকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ফ্রান্সকে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচটা ফ্রান্সের জন্য বদলার ম্যাচ ছিল। কিন্তু এমবাপেরা বদলা নিতে পারলেন না। উলটে একই রকম ফলাফলের পুনরাবৃত্তি করে ইয়ামালরা বুঝিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে ফ্রান্সের থেকে এগিয়ে তারাই।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম প্রায় ঘণ্টাখানেক স্পেনের সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারল না ফ্রান্স। ম্যাচের ৫৫ মিনিটের মধ্যেই ৪ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। ২২ মিনিটে নিকো উইলিয়ামস, ২৫ মিনিটে মিকেল মেরিনো, ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইয়ামাল এবং ৫৫ মিনিটে পেড্রি গোল করে স্পেনকে ৪ গোলে এগিয়ে দেন। তখনও মনে হচ্ছিল ম্যাচ বুঝি একপেশেভাবে শেষ হবে। তারপরই টুইস্ট। ৫৯ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। তাতে গোল করতে ভুল করেননি এমবাপে। সেখান থেকেই ফরাসিদের লড়াই শুরু। যদিও এরপর ৬৭ মিনিটে কার্যত একার দক্ষতায় অনবদ্য গোল করে ব্যাবধান ফের চার গোলের করে দেন ইয়ামাল। তাতেও হার মানেনি ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে রায়ান চেরকি বিশ্বমানের গোল করে ব্যবধান কমান। খেলার ফল তখন ৫-২। মিনিট পাঁচেক বাদে ফের ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। এরপর আত্মঘাতী গোল করে বসেন দানি ভিভিয়ান। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ব্যবধান ৫-৪ করেন কলো মুয়ানি। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ হয়তো আফশোস করবেন শেষ ২০ মিনিট যে খেলাটা ডেম্বেলে-এমবাপেরা খেললেন, সেটা গোটা ম্যাচে খেলতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হত।
জয়ের ফলে ফাইনালে উঠে পড়ল স্পেন। ইউরোর পর নেশনস লিগ জয়েরও হাতছানি তাদের কাছে। তবে নেশনস লিগের ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল।
