অর্ণব আইচ: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাসন্তী হাইওয়েতে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক সার্জেন্টের। তাঁর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মৃত সার্জেন্ট শশীভূষণ মিনজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মস্তিষ্কের ভিতরের অংশে ৫টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। হেলমেট থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই আঘাত লাগল, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেনসিক দল।
এদিন মৃত সার্জেন্টকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। তাঁর প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাতে তিলজলা ট্রাফিক গার্ডে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেখানে বাসন্তী হাইওয়ের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার হাল ফেরানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপের কথাও বলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
[আরও পড়ুন: ক্লিনিকে লম্বা লাইন নয়, পাড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ পাবেন কলকাতাবাসী]
এ প্রসঙ্গে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল বলেন, “বাসন্তী হাইওয়ের রাস্তা মেরামত করার জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ধারে সাইডে ক্র্যাশ ব্যারিয়ার-সহ অন্য বিষয়গুলি উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে দুর্ঘটনা কম ঘটে।”
এদিকে এদিন বাসন্তী হাইওয়েতে গিয়েছে ফরেনসিক টিম। যে গর্তে ট্রাফিক সার্জেন্টের বাইকটি পড়েছিল, সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, শশীভূষণ ছিটকে পড়ার পর বাইকটি পড়েছিল তাঁর উপর। তবে মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ইন্টারনাল হেমারেজ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ফরেন্সিক টিম।
সোমবার বিকেলে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় এক ট্রাফিক সার্জেন্টের। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। জখম ট্রাফিক সার্জেন্টকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকরা জানান, জখম ট্রাফিক সার্জেন্টের মাথায় ইন্টারনাল হেমারেজ ছিল।
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমলেও করোনায় মৃত্যুহার ঊর্ধ্বমুখী দেশে, একদিনে কোভিডের বলি প্রায় ১২০০]
উল্লেখ্য, বাসন্তী হাইওয়ের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হলেও চারিদিকে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। যার জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে।