সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত যুদ্ধ আসন্ন বঙ্গের মাটিতে। নতুন বছর পড়লেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) তোড়জোড় শুরু হয়ে যাবে। তারও আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। তারই অংশ হিসেবে রানাঘাটের মিলন মন্দির ময়দানে জনসভায় অংশ নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেখানে গিয়ে প্রথমেই পঞ্চায়েত নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। স্পষ্ট বললেন, ”পঞ্চায়েতে দিদি-দাদাকে ধরে টিকিট মিলবে না। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই টিকিট পাওয়া যাবে। ব্যক্তি স্বার্থে কেউ যদি দল করেন, তাহলে দলের দরজা খোলা, বেরিয়ে যেতে পারেন। পঞ্চায়েতে দু, একজন ভুল করে থাকলে ক্ষমা করুন, কিন্তু মুখ ফেরাবেন না। কোনও পরিযায়ী নেতাদের ভোট দেবেন না।”
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে অনেক আগে থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। কীভাবে প্রার্থী নির্বাচন হবে, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলই প্রার্থী ঠিক করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের পছন্দ-অপছন্দকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় তিনি বলেন, ”আপনাদের যদি মনে হয়, কেউ পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী, তাহলে তার নাম সাজেস্ট করুন। আমাকে ফোন করে নাম বলুন। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ – এই নম্বরে ফোন করে জানান। আমি দেখছি। এখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আমি। আমাকে যখনই ডাকবেন, পাবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘পাঠান’ বিতর্কের মাঝেই গেরুয়া সুইমস্যুটে স্মৃতির ভিডিও পোস্ট তৃণমূল নেতার, তুঙ্গে TMC-BJP তরজা]
পঞ্চায়েত হবে মানুষের পঞ্চায়েত। এই লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। আর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিটি কথায় তারই প্রতিফলন। আর এক্ষেত্রে সংগঠনেও যে কড়া নজর রাখছেন অভিষেক, তাও বোঝালেন। তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে অভিষেক সভা থেকেই তাঁকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”আপনি মানুষের জন্য কাজ করেননি। মানুষ আপনাকে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেও তাঁদের পাশে পায়নি, তাই সার্টিফিকেটও দেয়নি। আর তা না হলে তো আপনি আর প্রধান থাকতে পারেন না।”
[আরও পড়ুন: জামিয়া মসজিদ চত্বরে পাশাপাশি বসতে পারবে না নারী-পুরুষ, জারি হল নিষেধাজ্ঞা]
এই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ”ওরা সাইবেরিয়ার পরিযায়ী পাখি। ভোটের আগে আসে, ভোট হয়ে গেলে চলে যায়। রানাঘাট থেকে বিজেপির জঞ্জাল সরান।”