সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত বর্ষীয়ান ক্রিকেট প্রশাসক তথা বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সচিব অমিতাভ চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তাঁর আচমকা প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন অনেকেই।
দীর্ঘ ১০ বছর ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) কার্যকরী সচিবের পদেও আসীন ছিলেন। এদিন ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার তরফেই তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। অমিতাভ চৌধুরীর (Amitabh Chaudhury) সহকর্মী অনিরুদ্ধ চৌধুরী শোকপ্রকাশ করে বলেন, “ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটে অমিতাভের অবদান অপরিসীম। JSCA-তে বিরাট শূন্যস্থান তৈরি হল। ওঁর পরিবার ও পরিজনদের প্রতি সহানুভূতি জানাই।”
[আরও পড়ুন: খুনের পর যুবকের দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ, গ্রেপ্তার বাবা, মা ও দাদা, চাঞ্চল্য চোপড়ায়]
গ্যাংটকে জন্ম নেওয়া অমিতাভ চৌধুরী ছিলেন আইপিএস অফিসার। তবে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার টানেই প্রশাসনিক ভাবে ২২ গজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে ফেলেন। যদিও শুধু প্রশাসনিক কর্তাই নয়, ২০০৫-০৬ মরশুমে ভারতীয় দলের জিম্বাবোয়ে সফরে টিম ম্যানেজারের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই সিরিজেই প্রকাশ্যে এসেছিল গ্রেগ চ্যাপেল ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতবিরোধ। যে কারণে সেই সিরিজ এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে উজ্জ্বল।
এরপর বিসিসিআইয়ের অন্দরে প্রশাসনিক কমিটি (CoA) তৈরি হওয়ার সময় বোর্ডের সচিবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অমিতাভ চৌধুরী। সেই সময় আবার তৎকালীন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ অনিল কুম্বলের মধ্যে মনোমালিন্যের বিষয়টি সামলাতে হয়েছিল তাঁকে। কোহলির সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরায় সেই সময় কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কুম্বলে। সে সব ঝড় শক্ত হাতেই সামলেছিলেন অমিতাভ। এখানেই শেষ নয়, রাঁচিকে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটের মুখ হিসেবে তুলে ধরার কৃতিত্বও অনেকাংশে তাঁরই। যার স্বীকৃতি হিসেবে রাঁচি স্টেডিয়ামের একটি দিকের নামকরণ হয়েছিল তাঁর নামে। এহেন সফল প্রশাসকের প্রয়াণে শোকের ছায়া ক্রিকেট দুনিয়ায়।