সন্দীপ চক্রবর্তী: ফের প্রদেশ কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ-সভাপতি ওমপ্রকাশ মিশ্র। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে দল বদলান ওমপ্রকাশ। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিধানসভা চত্বরে যান তিনি। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ওমপ্রকাশের যোগদানের খবর দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে যোগ দেওয়ার পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে বর্ষীয়ান নেতাকে। তৃণমূলের শিক্ষা ফোরামের সর্বভারতীয় চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘কার গুরুত্ব বেশি, তা দলই ঠিক করবে’, শোভন-বৈশাখীকে স্পষ্ট বার্তা কৈলাসের]
ওমপ্রকাশ মিশ্র একসময় রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র মমতা-বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অধীর চৌধুরির ঘনিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ওমপ্রকাশ। টেলিভিশন বিতর্কে তাঁর বাগ্মিতাও বেশ প্রশংসিত। ২০১৬ বিধানসভায় মমতাকে রুখতে বাম-কংগ্রেসের যে নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছিল, তারও অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন ওমপ্রকাশ। লোকসভাতেও তিনি চাইছিলেন বামেদের সঙ্গে জোট হোক। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। অধীর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরার পর থেকেই দলে কোণঠাসা হতে থাকেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে আসার পর আরও অসম্মানিত বোধ করেন ওমপ্রকাশবাবু।
[আরও পড়ুন: মিঠুনের পথে হাঁটলেন শতাব্দী, ফেরালেন সারদার টাকা]
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের দায় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতির পদ ত্যাগ করেন তিনি। দলের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখও খোলেন। তারপর দলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়ে। কংগ্রেসে থাকাকালীনই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার পক্ষে ছিলেন ওমপ্রকাশ। তাঁর বক্তব্য, আগে বিজেপির মতো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাস্ত করার কথা ভাবা উচিত বিরোধী দলগুলির। বলা বাহুল্য, প্রদেশ কংগ্রেসের লাইন পুরোপুরি উলটো। তৃণমূল এবং বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে বামেদের সঙ্গে জোট চাইছেন প্রদেশ নেতারা। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ার জন্যই তিনি দল ছেড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, ওমপ্রকাশবাবু সরাসরি সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি।
The post তৃণমূলে যোগ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রের, পেলেন বড় দায়িত্ব appeared first on Sangbad Pratidin.