নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: একসময়ের দক্ষ সংগঠক টিকিট না পেয়ে বিজেপির সঙ্গত্যাগ করেছিলেন রবিবার। আর সোমবার সকালেই কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেট্টার (Jagadish Shettar)। রবিবার রাতেই তিনি কর্ণাটকের হুব্বলি থেকে বিশেষ চপারে চলে এসেছিলেন বেঙ্গালুরুতে। সেখানে উপস্থিত কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলেন। রাতেই সেট্টারকে দলে নেওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) হাত ধরে দলীয় পতাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন ‘হাত’ শিবিরে। তবে সেট্টারকে আসন্ন নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও খবর মেলেনি।
সোমবার তাঁকে দলে যোগদান করিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ”উনি এমন একজন মানুষ যাঁর সঙ্গে কোনও বিতর্ক জড়িয়ে নেই। তাঁর বিষয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। যিনি নিজেই শুধু জিতেছেন, তা নয়। আমি মনে করি, কর্ণাটকের একাধিক আসনে প্রার্থীদের জেতানোর ক্ষমতা রাখেন তিনি। তাঁর যোগদানে আমাদের দল লড়াইয়ে আরও উৎসাহ পেল।”
[আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার জীবনকৃষ্ণ সাহা]
কর্ণাটকের হুব্বলি সেন্ট্রাল কেন্দ্র থেকে ৬ বারের বিধায়ক (MLA) জগদীশ সেট্টার। কিছুদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীও হন। কর্ণাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েতদের অন্যতম বড় নেতা সেট্টার। তিনি বিজেপি ছাড়ায় গেরুয়া শিবির বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন নেতারা। সেট্টারকে নির্বাচনী লড়াইয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু লাভ হয়নি। বিজেপির দাবি, তাঁকে বয়সজনিত কারণে প্রার্থী করা হয়নি। তাছাড়া কর্ণাটকের সিংহভাগ আসনে লিঙ্গায়েত (Lingayat) মুখ তুলে ধরা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণর সাহার মোবাইলেই ৭০% তথ্য! জল থেকে উদ্ধারের পর হাতে পেতে মরিয়া CBI]
তাঁকে দলের তরফে অপমান করা হচ্ছে বলে গর্জে উঠে রবিবার দল ছেড়েছিলেন সেট্টার। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়বেন। কিন্তু সোমবার দিনের শুরুতেই কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর নতুন সম্পর্ক তৈরি হল।