সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টালিগঞ্জ থেকে বেলঘরিয়া। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের অভিজাত আবাসনে একাধিক ফ্ল্যাট। বিলাসবহুল গাড়ি। রঙিন জীবন। এক নিমেষে বদলে গিয়েছে সব কিছু। ইডির পর জেল হেফাজতে দিন কাটছে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার। আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘরই আপাতত তাঁর ঠিকানা। জেল হেফাজতে কেমন কাটছে বিলাসে অভ্যস্ত অর্পিতার জীবন?
আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘরটি আদতে হলঘরের মতো। সেখানে একসময় থাকতেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ওই ঘরেই বিউটিশিয়ান কোর্স করাতেন তিনি। ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ওই ঘরটি তাঁর ঠিকানা। অর্পিতার (Arpita Mukherjee) খাবার ও জল পরীক্ষা করে মডেল-অভিনেত্রীকে দেওয়া হচ্ছে। প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথম রাতে অর্থাৎ শুক্রবার খাবারদাবার খাননি অর্পিতা। শনিবার লিকার চা দিয়ে দিন শুরু হয় প্রাক্তন মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠে’র। হালকা জলখাবারও খান।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দু’সপ্তাহ পরই বাগুইআটিতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, ফ্ল্যাটের নিচ থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ]
ব্যাঙ্কশাল আদালতে ওঠার সময় বারবার ভেঙে পড়েছেন অর্পিতা। ডুকরে ডুকরে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। চোখেমুখে বিষণ্নতা। সূত্রের খবর, আলিপুর সংশোধনাগারে আর এখন কান্নাকাটি করছেন না অর্পিতা। তবে মন ভাল নেই মডেল-অভিনেত্রীর। মানসিক অবসাদে ভুগছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই অর্পিতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাহাড়প্রমাণ টাকা উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার হন দু’জনেই। এখনও পর্যন্ত অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও ওই টাকার মালিক তিনি নন বলেই দাবি অর্পিতার। টাকা তাঁর নয় বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রীও। তবে কোটি কোটি টাকার মালিক কে, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক সম্পত্তির খোঁজ পাচ্ছে ইডি। সূত্রের খবর, অর্পিতার ৩১টি এলআইসির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার নমিনি হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, এলআইসি’র নথিপত্রে পার্থকে ‘আঙ্কল’ বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত তথ্য যাচাইয়ে পার্থ এবং অর্পিতাকে আরও জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই দাবি ইডি’র। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, একজন তদন্তকারী আধিকারিক জেলে গিয়ে অর্পিতা এবং পার্থকে জেরা করতে পারবেন।