সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে ভারতরত্ন সম্মান তুলে দিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওই সময় বর্তমান ও প্রাক্তন দু’জন রাষ্ট্রপতিকেই খুব উচ্ছ্বসিত লাগছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬ টার সময় রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই সম্মান প্রদান করা হয়। সম্মান গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি ও উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে করমর্দন করেন প্রণববাবু। এরপর মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় কিংবদন্তি গায়ক ও সুরকার প্রয়াত ভূপেন হাজারিকার ছেলে তেজ হাজারিকার হাতে। অন্যদিকে প্রয়াত সমাজসেবী নানাজি দেশমুখের মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয় দীনদয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বীরেন্দ্রজিত সিংয়ের হাতে।
[আরও পড়ুন: দিদি মাও নেত্রী, সামনে পেয়েও রক্তের টানে গুলি ছোঁড়া হল না পুলিশ ভাইয়ের]
এরপরই টুইট করে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয় কংগ্রেসের তরফে। তারা টুইট করে, ভারতরত্ন পাওয়ার জন্য আমরা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাই। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি কংগ্রেস সরকারের আমলে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রকে মন্ত্রী হিসেবে বেশ দক্ষ হাতেই দায়িত্ব সামলেছেন।
এবছরের জানুয়ারি মাসেই প্রণববাবুকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে রাহুল গান্ধী, শাসক-বিরোধী সবাই অভিনন্দন জানান প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ‘প্রণবদা আমাদের সময়ের একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক। কয়েক দশক ধরে নিঃস্বার্থভাবে উনি দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ভারতের উন্নতির পিছনেও তাঁর অনেক অবদান আছে। তাঁর দূরদৃষ্টি ও মেধায় সমৃদ্ধ হয়েছে গোটা দেশ। তাঁর মতো মানুষ ভারতরত্ন পাচ্ছেন জেনে আন্তরিকভাবে আনন্দিত হয়েছি।’ জবাবে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন প্রণববাবু। টুইট করেছিলেন, “মহান এই সম্মান পাওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। সবসময় আমি বলি, যতটা না দিয়েছি, তার থেকে জনগণের থেকে অনেক পেয়েছি।”
১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর বীরভূম জেলার কীর্ণাহারের মিরাটি গ্রামে জন্ম হয়েছিল আধুনিক ভারতীয় রাজনীতির চাণক্যের। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সংসদীয় রাজনীতিতে। তারপর চারবার রাজ্যসভা সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসন থেকে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বাণিজ্য বন্ধের লোকসান পুষিয়ে যাবে কোহলির এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে: দোভাল]
প্রায় পাঁচ দশক রাজনীতিতে রয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যয়। কংগ্রেসের পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে মনমোহন সিং পর্যন্ত সবার সরকারে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১২ সালে দেশের ১৩ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারে অর্থমন্ত্রী পদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনও করেন তিনি।
The post ‘ভারতরত্ন’ প্রণব, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পেলেন দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান appeared first on Sangbad Pratidin.