সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সিবিআই দপ্তরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সকাল ১০টা ২৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। এই নিয়ে পর পর চারদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সন্দীপ।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনার 'নৈতিক দায়' নিয়ে 'স্বেচ্ছা'য় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত লম্বা ছুটিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: প্রতিবাদের নয়া ভাষা, এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বাইরে ওপিডি পরিষেবা প্রতিবাদী চিকিৎসকদের]
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। পুলিশ এই ঘটনায় তৎকালীন অধ্যক্ষকে জেরা না করলেও, সিবিআই সন্দীপকে হাজিরার নোটিস পাঠায়। তবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেননি সন্দীপ। এর পর গত শুক্রবার নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই দিন মাঝপথে সিবিআই তাঁকে পাকড়াও করে। টানা জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, প্রথমদিন প্রায় ১৪ ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্সে পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। শনিবার ফের সকালে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন সন্দীপ। সেদিন সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে হাজিরা। এবং সবরকমভাবে তদন্তকারীদের সাহায্য করার আশ্বাসও দেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এর পর রবিবার এবং সোমবারও সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁর কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।