বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পূর্বসূরির পথেই হাঁটলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ‘ভারতরত্ন’ ফিরিয়েছিলেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। এবার পদ্ম সম্মান (Padma Awards 2022) ফেরাচ্ছেন বুদ্ধবাবু। এদিন পদ্মভূষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা হওয়ার পরেই দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বুদ্ধবাবু সঙ্গে কথা বলেন।
পরে এ বিষয়ে বিবৃতি দেন বুদ্ধবাবু। জানান, ” যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দিয়ে থাকে তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।” প্রসঙ্গত, সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই সম্মান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: পদ্মভূষণে সম্মানিত বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, পদ্মবিভূষণ জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে]
যদিও আগেই পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে চমকের রাজনীতি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যে বুদ্ধবাবুর কথা বলে সহানুভূতি কুড়োতে চান। বুদ্ধবাবুদের মত লোকেরা মানুষের মনের মধ্যে অনেক বেশি অবস্থান করেন। আর বাংলার রাজনীতিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদদের এক, দুই, তিন, চার করে খুঁজতে গেলে কমিউনিস্টদের নামই আসবে বলে দাবি করেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ভারতরত্ন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি টেনে আনেন। তিনি জানান সেই সময় জ্যোতিবাবু জানিয়েছিলেন, কমিউনিস্টরা মানুষের মাঝখানে থেকেই কাজ করেন। রত্ন পাওয়ার জন্য কাজ করে না।
[আরও পড়ুন: বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপর হামলা! তুমুল উত্তেজনা টিটাগড়ে]
এদিকে রাজ্যের প্রাকত্ন মুখ্যমন্ত্রীকে এই সম্মান দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে জমি সন্ত্রাস করেছিলেন বুদ্ধবাবু। এই সম্মান দেওয়ার অর্থ তাঁর জমি-সন্ত্রাসে সিলমোহর দেওয়া। এদিন নাম ঘোষণার পরই বিজেপি-বামেদের আঁতাঁত স্পষ্ট।”