সম্যক খান, মেদিনীপুর: একশো দিনের রাস্তা হোক বা অন্য কোনও প্রকল্পের ফলক। বসানোর দিন কয়েকের মধ্যেই মেদিনীপুরের (Midnapore) বিভিন্ন এলাকা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে তা। পরবর্তীতে তা দেখা যাচ্ছে ব্যবহার হচ্ছে ব্যক্তিগত কাজে। কেউ কাপড় কাচতে ব্যবহার করছেন সেই ফলক! কেউ আবার বাড়ির দরজায় ঢোকার মুখে সিঁড়ি হিসেবে। কিন্তু কেন একাজ? উত্তর নেই কারও কাছে। ফলক চুরির বিষয়টি নজরে পড়তেই সরকারি প্রচারকে এভাবে নষ্ট না করারই আবেদন জানালেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ।
জাতীয় গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্পে একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে অন্য যে কোনও প্রকল্পের কাজের স্থানে ফলক লাগানোটাই নিয়ম। কারণ, ফলকেই প্রকল্পের নামের পাশাপাশি তার বাজেট থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকে। যাতে সাধারণ মানুষ প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানতে পারেন। স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় সরকারি উদ্যোগে। কিন্তু উদ্দেশ্যে বা প্রয়োজনীয়তা না বুঝেই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দারা রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন ফলক। সম্প্রতি শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোষ্ট করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। বলেন, প্রকল্পস্থলে যেসব বোর্ড বা ফলক লাগানো হয় কিছুদিনের মধ্যে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা তা কোনও পুকুরের ঘাটে অথবা কোনও মানুষের বাড়ির সামনে দেখতে পাই। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্প স্থল থেকে সেই বোর্ড তুলে এনে অনেকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়, অনেকক্ষেত্রে আবার সেটিগুলিকে ভেঙে নষ্ট করে ফেলে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর, জুলাইয়ের শুরুতেই গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেবেন দিঘার মৎস্যজীবীরা]
এ বিষযে সন্দীপবাবু বলেন, “সবকিছু পুলিশ ও প্রশাসনের উপর ছেড়ে না দিয়ে সকলেরই উচিত বিষয়গুলির রক্ষনাবেক্ষন করা। সকলেরই এবিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। তাহলেই এধরনের ঘটনা ঘটবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘ভারতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে উচিত শিক্ষা পাবে’, চায়ে পে চর্চায় চিনকে হুঁশিয়ারি দিলীপের]
The post সরকারি প্রকল্পের ফলকই ঘরের সিঁড়ি! মেদিনীপুরবাসীর কীর্তিতে নাজেহাল প্রশাসন appeared first on Sangbad Pratidin.