সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাস থেকেই হিংসার আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স। ট্রাফিক আইন না মানার অপরাধে পুলিশকর্মীর গুলিতে নিহত কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে রয়েছে ‘কবিতার দেশ’। এহেন পরিস্থিতিতে বাস্তিল দিবসের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল ফ্রান্স সরকার। উৎসব উৎযাপনে নিষিদ্ধ করা হল আতসবাজি।
১৪ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস বা ‘বাস্তিল ডে’। অন্যদিকে এম নাহেলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ধারা এখনও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে রবিবার ফ্রান্স অফিসিয়াল গেজেটে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১৪ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত আতসবাজির কেনাবেচা, ব্যবহার এবং পরিবহণ বন্ধ থাকবে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের বাজি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
[আরও পরুন: আকাশসীমা ভেঙে ঢুকে পড়ল মার্কিন বিমান, ‘গুলি করে নামাব’, হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার]
এ বিষয়ে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোরনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “ওই দু’দিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আতসবাজির ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আতসবাজির ব্যবহারে যাতে কোনওভাবে শান্তি বিঘ্নিত না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন এক পুলিশকর্মীর গুলিতে নিহত হয় এম নাহেল নামে বছর সতেরোর এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একাধিক ট্রাফিক আইন অমান্য করার। প্যারিসের পাশে অবস্থিত নঁতের অঞ্চলে পুলিশকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হয় নাহেলের। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ঘটনার কয়েকদিন পরই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নাহেলের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চান। কিন্তু তারপরেও থামেনি প্রতিবাদ বিক্ষোভ। গত মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি বিক্ষোভকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন দুশোর বেশি পুলিশকর্মী।