সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার গর্ভপাতকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে চলেছে ফ্রান্স (France)। বুধবার সেনেটে ব্যাপক ভোট পেয়ে পাশ হয়েছে এই প্রস্তাব। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই ফ্রান্সে সাংবিধানিকভাবে বৈধতা পাবে গর্ভপাত (Abortion)। অর্থাৎ সংবিধানে লিখিত থাকবে, গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে মহিলাদের।
কেন এই উদ্যোগ নিচ্ছে ফ্রান্সের প্রশাসন? গত বছর থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তে সংকটের মুখে পড়েছে গর্ভপাতের অধিকার। ৫০ বছরের পুরনো গর্ভপাতের আইন বাতিল করেছে আমেরিকার আদালত। একই অবস্থা ইউরোপের নানা দেশেও। হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, ইটালি, স্পেনের মতো দেশগুলোতেও গর্ভপাত করাতে গেলে সমস্যার মুখে পড়ছেন মহিলারা।
[আরও পড়ুন: নাভালনির শেষকৃত্যে এলেই গ্রেপ্তার! আশঙ্কায় ভুগছেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী]
এহেন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের সরকারের মত, গর্ভপাতের অধিকার বাঁচিয়ে রাখতে গেলে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া প্রয়োজন। তাই বেশ কয়েকদিন ধরেই ফ্রান্সে শুরু হয়েছে সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া। সেই মতো বুধবার ভোটাভুটি শুরু হয় ফরাসি সেনেটে। গর্ভপাতের স্বাধীনতাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ২৬৭টি ভোট পড়ে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন ৫০ জন সেনেটর। তার পরেই ফ্রান্সের আইনমন্ত্রী জানান, মহিলাদের অধিকার রক্ষায় নতুন ইতিহাস লিখেছে সেনেট।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে গর্ভপাতকে অপরাধ বলে গণ্য করা হতো। তার পরে আইন প্রণয়ন করে গর্ভপাতের ‘অপরাধ’ তকমা ঘোচানো হয়। ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করানোর অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২২ সালে সেই আইন সংশোধন করে গর্ভপাতের সময় বাড়িয়ে হয় ১৪ সপ্তাহ। এবার সাংবিধানিক বৈধতা পাবে গর্ভপাতের অধিকার। আর পাঁচটা মৌলিক অধিকারের তালিকায় থাকবে গর্ভপাতও।