সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে আপাতত সংসদীয় রাজনীতি থেকে নির্বাসিত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তা নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। রবিবার থেকে ‘সত্যাগ্রহ’ শুরু হয়েছে। রাহুল নিজেও বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি না থাকতে পারেন, তবে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরবেন না। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল। এই ইস্যুতে যখন উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি, সেসময়ই বাকস্বাধীনতার (Freedom of Speech) পক্ষে সওয়াল করলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। তাঁর মতে, বাকস্বাধীনতা ভারতের মহার্ঘ অলঙ্কার। তার সঙ্গে আপোস করা উচিত নয়।
রবিবার সকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Kolkata Press Club) একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাকস্বাধীনতার সঙ্গে কোনও রকম আপোস হওয়া উচিত নয়।’’ যদিও এর সঙ্গে কোনওরকম রাজনৈতিক সংযোগ নেই বলেই দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের। এমনকী তাঁকে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান।
[আরও পড়ুন: ‘হাওয়া নিকল গয়ি’, সাংবাদিককে ধমকে বিপাকে রাহুল, ক্ষমা চাইতে বলল প্রেস ক্লাব]
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বাকস্বাধীনতা নিয়ে আনন্দ বোসের এই বক্তব্য গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার বার্তা হিসেবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কারও নাম না করলেও তাঁর বক্তব্যের আসল টার্গেট যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, তা স্পষ্ট বলেই মত অনেকের। এমনিতে রাজ্যের সঙ্গে নতুন রাজ্যপালের সম্পর্ক ভাল। এখনও পর্যন্ত খুব একটা দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ (MP)পদ খারিজ হওয়ায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বাকস্বাধীনতার বার্তাতেও একই সুর প্রায়।