সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই এবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে বিদেশ থেকেও চাপ আসা শুরু করেছে মোদি সরকারের উপর। আমেরিকা ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নজরে রাখার বার্তা দিয়েছে। এবার জার্মানিও ঘুরিয়ে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে মোদি (Narendra Modi) সরকারকে বুঝিয়ে দিল তারাও বিরোধীদের মৌলিক বাক স্বাধীনতার পক্ষে।
জার্মান বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর শাস্তি এবং তাঁর সাংসদপদ বাতিলের ব্যাপারটা তাঁদের নজরে রয়েছে। তিনি বলেন,”আমরা যতদূর বুঝেছি তাতে রাহুল গান্ধী এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তারপরই স্পষ্ট হবে এই রায় এবং তাঁর সাংসদ পদ বাতিলের বিষয়টির কোনও ভিত্তি আছে কিনা।” এরপরই জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র স্পষ্ট বলে দিয়েছেন,”আমরা আশা রাখি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্ষেত্রেও বজায় রাখা হবে।”
[আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে কাটল জট, ২৯ বছর পর পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্ত ‘ভগবান হনুমান’! ]
জার্মান সরকারের এই অবস্থান ভারত সরকারের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তির কারণ। এর আগে ঘুরিয়ে আমেরিকাও বুঝিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস (Congress) নেতার সাংসদ পদ বাতিলের বিষয়টা তারা ভালভাবে নিচ্ছে না। আমেরিকা বার্তা দিয়েছে, “ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলার দিকে নজর রাখছে আমেরিকা। গণতন্ত্র নিয়ে আমেরিকার মতাদর্শের কথাও ভারতীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলির মাধ্যমে দুই দেশের গণতন্ত্রই যেন সুরক্ষিত থাকে, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতকে।”
[আরও পড়ুন: ‘কেউ আমাকে ছুঁতেও পারবে না’, ভিডিও প্রকাশ করে বার্তা পলাতক অমৃতপালের]
আমেরিকা এবং জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশ রাহুল ইস্যুতে যেভাবে ‘গণতন্ত্র’ রক্ষার বার্তা দিয়েছে, তাতে চাপ বাড়বে নরেন্দ্র মোদি সরকারের উপর। তাছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ কোনও ইস্যুতেই বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। যদিও এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লি এখনও সরকারিভাবে কিছু জানায়নি।