নব্যেন্দু হাজরা: বছর তিনেক ধরেই গণপতি দেব পশ্চিম ভারত থেকে বাংলার মাটিতে ঘাঁটি গেড়েছেন। কে বলবে, কয়েক বছর আগেও এই পুজোর দিনক্ষণ জানতে চাইলে ঢোক গিলত বাঙালি। একটু সিদ্ধিলাভের আশায় এখন সেই পুজোই ঘরে ঘরে। তাতে মধ্যবিত্তের কত সিদ্ধিলাভ হচ্ছে তার উত্তর অজানা। তবে হালুইকরদের সিদ্ধিলাভ ভালই। গণেশ পুজো উপলক্ষে বানানো হচ্ছে হরেকরকম লাড্ডুর আইটেম। বিকোচ্ছেও দেদার। দিন দুই ধরে নামজাদা লাড্ডুর দোকান ভিড়ে ঠাসাঠাসি। বাজারের খবর, গণেশ চতুর্থীর দৌলতে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ২৫ শতাংশ লাড্ডুর বিক্রি একলাফে বেড়েছে।
তবে এমন সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে চলতি বছরের নতুন এক ট্রেন্ড। লাড্ডুর গণেশমূর্তি। শহরের এক নামী হালুইকর সংস্থা জানাচ্ছে, দেড় কেজি থেকে ছ’কেজি ওজনের লাড্ডু দিয়ে মূর্তির অসংখ্য অর্ডার এসেছে। বেশিরভাগই বিভিন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের বাড়ির পুজোয় যাচ্ছে। সঙ্গে লাড্ডু দিয়ে তৈরিই সাজানো ট্রে। তাতে হরেক আইটেম। এলাচ লাড্ডু, কেসর লাড্ডু থেকে মোদক, বাদ থাকছে না কিছুই।
[এক লাইনে মুখোমুখি দুই ট্রেন, গার্ডের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যাত্রীরা]
গত কয়েক বছর গণপতি বাপ্পা বারোয়ারিতে স্থান পেলেও এবছর তিনি ঘরে ঘরে পূজিত হচ্ছেন। লক্ষ্মীপুজোর মতো পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গণেশ চতুর্থীর আয়োজন। আলোয় সেজেছে বাড়ি। আয়োজনেও কার্পণ্য নেই। ‘আসলে গজাননকে সন্তুষ্ট রাখতে হবে না! না হলে গণপতি বাপ্পা কী করে খুশি হয়ে ধনসম্পদ দেবেন?’ এমনটাই বক্তব্য বাগুইআটির গৃহবধূ সনিয়া চৌধুরির। আল্পনা দেওয়া থেকে সিংহাসন সাজানো ঠাকুর ঘর দেখে চোখ ফেরানো দায়। সাধারণ মূর্তির পাশাপাশি ঘরে এসেছে দেড় কেজি লাড্ডুর গণেশমূর্তি। সল্টলেকের এক প্রখ্যাত হালুইকর সংস্থার কর্ণধার রাকেশ চৌধুরি বলেন, ‘দেড় কেজি লাড্ডুর গণেশের দাম ২১০০ টাকা। এর চাহিদা সবথেকে বেশি। চার কেজি দিয়ে বানালে দাম ৩১০০ টাকা। তাছাড়া পাঁচ কেজি, ১১ কেজি ওজনের লাড্ডু বানানোরও অর্ডার এসেছে। গত কয়েকবছরের থেকে এবার বাজার ভালই।’ বড়বাজারারের লাড্ডু বিক্রেতা দেবী সিং মুচকি হেসে বলেন, ‘এবছরে লাড্ডু কেনার হিড়িক আগের থেকে বেড়েছে। ব্যবসা বেশ ভালই। আর ব্যবসা বাড়লে আমাদেরই সিদ্ধি লাভ।’
[মদের টাকা না পেয়ে মাকে লাথি মেরে খুন গুণধর ছেলের]
The post জনপ্রিয়তার চূড়ায় গণপতি বাপ্পা, বাংলার ঘরে ঘরে হিট লাড্ডুর মূর্তি appeared first on Sangbad Pratidin.