সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাদ্য সংকটে বিপর্যস্ত গাজা (Gaza)। এবার কার্যত ডাকাতি হচ্ছে সেদেশের একাধিক ত্রাণশিবিরে। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) ত্রাণ শিবির থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, গাজার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। প্রসঙ্গত, গাজায় খাবার, জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল।
রবিবার গাজা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। সেখানেই জানা যায়, রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ মজুত করার ডেরায় ঢুকে পড়ে প্রায় হাজারখানেক মানুষ। মধ্য ও দক্ষিণ গাজার একাধিক এলাকায় একই ছবি ধরা পড়েছে। খিদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে আটা ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী চুরি করেছেন গাজার সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর থেকে মিশর হয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছনো শুরু করে রাষ্ট্রসংঘ।
[আরও পড়ুন: দুদিন পরেই শুরু স্নাতকোত্তরে ক্লাস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও বহু আসন ফাঁকা]
গাজার মানুষের এই দুর্দশা দেখে চিন্তিত রাষ্ট্রসংঘ। বিবৃতিতে বলা হয়, গাজার সমস্ত বাজার থেকে খাদ্যসামগ্রী কমে আসছে। মিশর থেকেও যথেষ্ট পরিমাণে ত্রাণ পাঠানো যাচ্ছে না। প্রচুর খাদ্যসামগ্রী প্রয়োজন গাজার মানুষের। কিন্তু নিয়মিতভাবে গাজায় ত্রাণ পাঠানো যাচ্ছে না। তার মধ্যেই এমন ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। গত তিন সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গাজা। ফলে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা একেবারে বিপণ্ণ।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাস রকেট হামলা চালায় ইজরায়েলে। সেই সঙ্গে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে বহু ইজরায়েলিকে পণবন্দিও করে তারা। সেই হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়। যাঁদের অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক। পরে হামাস শিবিরের লক্ষ্যে পালটা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাও। এখনও পর্যন্ত তাদের বিমান হামলায় গাজা ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজার। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, যাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু। দেখতে দেখতে সংঘর্ষের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চলছে লড়াই। এই পরিস্থিতিতে বাড়ছে উদ্বেগ।