সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকার রাস্তায় সাদা পোশাকে দাঁড়িয়ে ছায়ামূর্তি। কালো চুলে ঢাকা মুখ। কাউকে দেখলেই বিকৃত মুখ নিয়ে এগিয়ে আসছে সে। আর ভয়ে শিউরে উঠছেন পথচারীরা। কেউ দৌড়ে পগাড় পার। তো কেউ গাড়ি নিয়ে আর সে পথে যাচ্ছেন না। সোশ্যাল সাইটে চোখ রাখলে এমন ভিডিও আখছার দেখতে পাওয়া যায়। মজা করে শুধু মনোরঞ্জনের জন্যই এমন ভিডিও তৈরি হয়, তাও জানিয়ে দেওয়া হয় পথচারীদের। কিন্তু এবার মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভিডিও করতে গিয়ে সোজা শ্রীঘরে ঠাঁই হল সাত যুবকের।
বেঙ্গালুরুর ইউটিউবার গ্রুপ ‘ঘোস্ট প্র্যাঙ্ক’-এর বেশ নামডাক আছে। সম্প্রতি গভীর রাতে রক্তাক্ত পোশাকে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই গ্রুপেরই সাত যুবক। একনজরে দেখে ভূত বলে ভয় পেতে বাধ্য আপনি। অন্ধকার রাস্তায় তাঁদের দেখেই শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে যাবে ঠান্ডা স্রোত। কখনও পথচারীদের মুখের কাছে গিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছিলেন তো কখনও অতর্কিতেই হানা দিচ্ছিলেন কারও অটোচালক ও মোটরআরোহীদের সামনে। এমনকী যশবন্তপুর এলাকায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তিকেও ভয় দেখান তাঁরা। আচমকা এমন বীভৎস চেহারার মূর্তিদের দেখে চমকে ওঠেন তিনি। সে সব ‘ভূতুড়ে’ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করাই ছিল উদ্দেশ্য। ইউটিউবে তাঁদের ‘কুকি পিডিয়া’ চ্যানেল বেশ জনপ্রিয়। সেখানেই আপলোড করা হয় ভিডিওগুলি। কিন্তু এভাবে ভয় দেখানোয় সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান এক অটোচালক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই সাত ভূত, থুড়ি যুবককে।
[আরও পড়ুন: আস্থা-গৌরবের পর মোহিনী, মায়ের জন্য পাত্রের খোঁজে নেটদুনিয়ায় বিজ্ঞাপন তরুণীর]
পুলিশের তরফে শাহিকুমার বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের নাম শান মালিক, নিভাদ, স্যামুয়েল মহম্মদ, মহম্মদ আখয়ূব, শাকিব, সৈয়দ নবিল, ইউসুফ আহমেদ। ভুলভাবে পথে বাধা নেওয়া, অপমান করা-সহ একাধিক অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে।” তাঁরা গ্রেপ্তার হলেও অবশ্য তাঁদের সেই ভূতুড়ে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। অনেকে তাঁদের কাণ্ডকারখানায় যেমন মজা পেয়েছেন, কেউ কেউ আবার সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। আপাতত জামিনে মুক্ত সাত যুবক।
[আরও পড়ুন: লেকের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘মানুষমুখো মাছ’, ভাইরাল ভিডিও]
The post গভীর রাতে অন্ধকার রাস্তায় পথচারীদের ভয় দেখিয়ে গ্রেপ্তার সাত ‘ভূত’! appeared first on Sangbad Pratidin.