শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কিছুদিন আগেই দোমহনিতে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। তার কয়েকদিন পেরতে না পেরতেই ‘ভূতের’ আতঙ্কে কাঁটা ওই এলাকার বাসিন্দারা। রাত বাড়তেই ঘটনাস্থল থেকে মিলছে বিভিন্ন রকম শব্দ। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন বিকেলে ময়নাগুড়ির দোমহোনি এলাকায় লাইনচ্যুত হয় বিকানের এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ৯ জনের। জখম হয়েছিলেন বহু মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই ভূতুড়ে কাণ্ড শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। কয়েকজনের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনের কামরায় মিলেছিল বেশ কিছু তাজা মাছ। এলাকার বহু মহিলা সেই মাছ নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই রান্না করে খেয়েওছিলেন। অভিযোগ, সেই মাছ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। সকলের মনে ধারণা জন্মায় যে, ওই মাছ খাওয়ায় ভূতে ধরেছে তাঁদের! যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
[আরও পড়ুন: দেউচা-পাচামিতে জমি দিলেই চাকরি, তৈরি ৫ হাজারের বেশি পদ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশির হাওয়া]
ওই এলাকার বাসিন্দাদের আরও দাবি, সন্ধে নামতেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভেসে আসছে নানারকম শব্দ। সব মিলিয়ে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে দোমহোনিতে। ইতিমধ্যেই কীর্তনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে। ‘ভুত’ তাড়াতে ওঝার কাছে গিয়েছেন অনেকে। সব মিলিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিষয়টি জানার পরই পদক্ষেপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ওই এলাকায় নিয়মিত সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন ও বিজ্ঞানমঞ্চ। স্থানীয়দের ভয় দূর করতে গোটা রাত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি মাছ খেয়ে অসুস্থদের মধ্যে একজনকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যদের কথায়, “সবটাই মানুষের মনের ভুল। সকলকে সচেতন করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভুতের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। বহু পুরনো এক সেনা ছাউনি থেকে রাত বাড়তেই বিভিন্নরকম শব্দ ভেসে আসছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয়রা।