সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল পাঠ্যে হিন্দুত্বের ছোঁয়া বিজেপি শাসিত রাজ্যে নতুন নয়। রাখঢাক ছেড়ে এবার স্কুলগুলিতে গীতা ও রামচরিতমানসের মতো ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রস্তাব দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শিক্ষকদের পরামর্শ দিলেন, স্কুলে পড়ুয়াদের আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ফলে প্রার্থনায় এই ধর্মগ্রন্থগুলির স্লোক পাঠ করানো হোক পড়ুয়াদের।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগে সরকারি পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুলগুলিতে সদর্থক পরিবেশ তৈরি করতে আধ্যাত্মিক সমাবেশ করা প্রয়োজন। উদাহরণ স্বরূপ শিক্ষকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা স্কুলের প্রার্থনায় গীতা, রামচরিতমানসের মতো গ্রন্থের শ্লোক পাঠ করাতে পারেন পড়ুয়াদের। ৫ মিনিটের জন্য এই পদক্ষেপ পড়ুয়াদের মনে আধ্যাত্মিক ভাবধারার বিকাশ ঘটাতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে। জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কী স্কুলে পাকাপাকিভাবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পাঠের ব্যবস্থা করছেন জাতীয় রাজনীতিতে হিন্দুত্বের পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথ!
[আরও পড়ুন: ‘আমি এখন কী করব?’ টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসালেন হরিয়ানার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক]
তবে শুধু ধর্মগ্রন্থ নয়, পড়ুয়াদের প্রতি শিক্ষকদের আচার-আচরণ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। বলেন, 'শিক্ষকদের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের মতো আচরণ করা উচিত নয়, তাহলে এই পেশার গরিমা নষ্ট হয়। শিক্ষক সমাজ গঠনের প্রধান কারিগর। শুধু ডিগ্রি অর্জন করলেই জ্ঞানের বিকাশ হয় না। এর জন্য সুঅভ্যাস, ত্যাগ ও কঠিন মার্গ অবলম্বন করতে হয়।'
[আরও পড়ুন: হোটেলে ডেকে মহিলাকে যৌন নিগ্রহ! ভিডিও ফাঁস হতেই সাসপেন্ড টিডিপি বিধায়ক]
অবশ্য স্কুলে গীতা পাঠের ঘটনা গেরুয়া রাজ্যে নতুন কিছু নয়। বছর দুয়েক আগেই ভগবত গীতাকে স্কুল পাঠ্যের অংশ করে সেখানকার বিজেপি সরকার। রীতিমতো বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করে বলা হয়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে গীতার বিভিন্ন অংশ কবিতা, শ্লোক বা গল্পের আকারে পড়ানো হবে। মূলত গুজরাটি বা অন্য প্রথম ভাষার মধ্যেই জুড়ে দেওয়া হবে এই অংশগুলি। আবার বিভিন্ন মনিষীদের জীবনী পড়ানোর সময় তাঁরা গীতাকে কীভাবে দেখতেন সেসবও বর্ণনা করা হবে। অষ্টম শ্রেণির পর থেকে আরও বিস্তারিত পড়ানো হবে গীতা। এবার কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে যোগীর উত্তরপ্রদেশ।