গোকুলাম এফসি: ২ (ঝিমোমি, সালাম- আত্মঘাতী)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (কাটসুমি-পেনাল্টি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচে নামার আগে ছেলেদের কানে একটি মন্ত্রই ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল। ‘গোকুলামকে হয় মারো, নয়তো মরো।’ নাহ, মারা হল না। তাই মরতেই হল। আরব সাগরের তীরেই সলিলসমাধি হল ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ জয়ের স্বপ্নের।
নকআউট টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছিল আই লিগ। যেখানে শনিবার কোঝিকোড়ের ম্যাচকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালই হিসেবেই দেখছিলেন খালিদ। আর সে ম্যাচে তিন পয়েন্ট না পাওয়ার অর্থ এবারও আই লিগ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাওয়া। সেটাই হল। তাও আবার নিজের দলের ফুটবলারের ভুলেই শেষ হয়ে গেল সব সমীকরণ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সালাম রঞ্জন সিংয়ের আত্মঘাতী গোলই খেতাব জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল। গতবারের আই লিগ জয়ী কোচকে দায়িত্বে এনেও ১৪ বছরের ভারতসেরা হওয়ার খরা কাটাতে পারল না লাল-হলুদ ক্লাব।
[ওয়ানডে কেরিয়ারে ক’টা সেঞ্চুরি করবেন কোহলি, ভবিষ্যদ্বাণী করলেন শেহবাগ]
সামান্য মুহূর্তের অসতর্কতা মানেই অতল গহ্বরে গিয়ে পড়া। এদিন সেটাই হল। ঘর শত্রু বিভীষণে পরিণত হলেন সালাম সিং। আর প্রথমার্ধেও লাল-হলুদ ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে চাপে ফেলে দেন হেনরি। লিগ তালিকার ৯ নম্বরে থেকে এদিন মাঠে নামা গোকুলামের কাছে হারানোর কিছুই ছিল না। কিন্তু ঘরের মাঠে সমর্থকদের এবং ফুটবল বিশেষজ্ঞদের চমকে দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত অক্সিজেন কেড়ে নিয়েই মাঠ ছাড়লেন বিনো জর্জের ছেলেরা। মোহনবাগানের স্বপ্নভঙ্গ করার পর ইস্টবেঙ্গলকেও বিষাক্ত ছোবলে বিদ্ধ করল আই লিগের আনকোড়া দলটিই। আর এভাবেই জানান দিয়ে গেল, তারা চলে যেতে আসেনি। তবে আরও বড় ব্যবধানে এদিন জিততেই পারত গোকুলাম যদি না দুবার বল বারে লেগে ফিরত।
কে বলবে, এই ইস্টবেঙ্গলই গত ম্যাচে মিনার্ভাকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল। পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে সব তছনছ হয়ে গেল ডিফেন্সের ভুলে। শুধু তাই নয়, পিছিয়ে পড়ে মেজাজ হারিয়ে খেলার শেষ দিকে লাল কার্ডও দেখেন অর্ণব মণ্ডল। খেতাব যুদ্ধে ইতি পড়ায় ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পাওয়া ইস্টবেঙ্গলের ফোকাসটাই যেন আজ নড়ে গেল। সেই সঙ্গে আরও একবার মন ভাঙল হাজার হাজার লাল-হলুদ সমর্থকের।