সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় সন্তানও কন্যা। হতাশ হয়েছিলেন বাবা আলি বক্স। দরিদ্র পরিবারে কে রোজগার করবে? শিশুর ডেলিভারির পর ডাক্তারকে পর্যন্ত দেওয়ার মতো টাকা নেই। ঠিক করলেন একরত্তিকে অনাথ আশ্রমে রেখে আসবেন। করলেনও তাই। কোথাও বোধহয় মানবিকতা বেঁচে ছিল। কিছুক্ষণ পরেই কন্যাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এভাবেই জীবন যাত্রা শুরু হয়েছিল ভারতীয় সিনেমার ট্র্যাজেডি ক্যুইনের। বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ৮৫। কিন্তু মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই মৃত্যু কেড়ে নেয় অসামান্য অভিনেত্রী তথা কবিকে। তবে মৃত্যুর পক্ষেও শিল্পীর স্মৃতিকে কাড়া সম্ভব নয়। সেই স্মৃতিকে সম্বল করেই ডুডলের মাধ্যমে মীনা কুমারীর জন্মদিন সেলিব্রেট করল গুগল।
[‘ইন্ডাস্ট্রি বদলাচ্ছে বলেই আমি এখনও টিকে আছি’]
কবিগুরুর পরিবারের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক ছিল মীনা কুমারীর। দিদিমা হেম সুন্দরী ঠাকুর ছিলেন বিশ্বকবির দুঃসম্পর্কের ভাই দর্প নারায়ণ ঠাকুরের প্রপৌত্র যদু নন্দন ঠাকুরের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর হেম সুন্দরীদেবী মীরাটে চলে যান। সেখানে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে পেয়ারে লাল শংকর নামের সাংবাদিককে বিয়ে করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আলি বক্সকে বিয়ে করেন মীনার মা প্রভাবতী দেবী। ছোট্ট মীনা চেয়েছিল স্কুলে যেতে। কিন্তু মা-বাবার ইচ্ছের মূল্য দিতে ও পরিবারের জন্য অর্থ জোগাতে মাত্র চার বছর বয়সেই অভিনয়ের জগতে পা রাখতে হয়। অল্পদিনেই মেহজবিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বেবি মীনা নামে।
[‘দিলবর’ গানে দুই ‘দঙ্গল’-কন্যার নাচ, ভিডিও মন কাড়ল নেটিজেনদের]
নায়িকা হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা পান ‘বায়জু বাওড়া’ ছবির পর থেকে। এ ছবিই তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিয়ে করেছিলেন ৩৫ বছরের কামাল আমরোহিকে। সেখানেও প্রতারণার শিকার হতে হয় নায়িকাকে। নিজের আগের বিয়ের কথা মীনার কাছে লুকিয়ে গিয়েছিলেন কামাল। তাও কামালকেই সারাজীবন ভালবেসেছিলেন তাঁর ‘পাকিজা’। জানতে পারেন লিভার সিরোসিস হয়েছে তাঁর। বাঁচার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শেষ ইচ্ছে ছিল, ভালবাসার মানুষটির কোলে মাথা রেখে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার। ব্যর্থ প্রেমের সেই গাথাই যেন ডুডলের ছবিতে ফুটে উঠেছে।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় স্তনবৃন্তের ছবি পোস্ট, কী বার্তা দিলেন স্বস্তিকা?]
The post জন্মদিনে ‘ট্রাজেডি ক্যুইন’ মীনা কুমারীকে শ্রদ্ধা গুগল ডুডলের appeared first on Sangbad Pratidin.