shono
Advertisement

ফিকো থেকে মহম্মদ রফি, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে শ্রদ্ধা ডুডলের

হারমোনিয়াম নয়, ছেলেবেলায় রফি সাহেবের হাতে উঠেছিল ছুরি-কাঁচি। The post ফিকো থেকে মহম্মদ রফি, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে শ্রদ্ধা ডুডলের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:41 AM Dec 24, 2017Updated: 02:23 PM Sep 18, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসিক্যাল থেকে রক বা রোম্যান্টিক। ভারতীয় সংগীতের মানচিত্রে এমন বিরল প্রতিভা খুব কম গায়কের আছে। সেই তালিকায় উজ্জ্বল নাম মহম্মদ রফি ২৪ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিনে সংবাদ প্রতিদিনের তরফে রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য।

Advertisement

[প্রিয়াঙ্কার ঝুলিতে আরও এক সম্মান, এবার পেতে চলেছেন ডক্টরেট]

৯৩ বছর আগে এক শীতের সকালে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন রফি সাহেব। আট ভাইবোনের মধ্যে সপ্তম রফিকে ছেলেবেলায় সবাই চিনত ফিকো নামে। অমৃতসরের মাঝিটা গ্রামের এই সন্তান ছোট্টবেলায় গ্রামে এক ফকিরের গান শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেই ফকিরের মতো নিজের গ্রামে ঘুরে ঘুরে গান শোনাত। তবে গান শুনিয়ে যে পেট চলে না। অতএব কৈশোরেই ছুটতে হয়েছিল লাহোরে। সেখানে গায়কের হাতে হারমোনিয়াম নয়, উঠেছিল ছুরি-কাঁচি। সেই সময় লাহোর সংস্কৃতি এবং সিনেমার অন্যতম পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত ছিল। সেলুনে কাজ করতে করতে ফিকো নিজের মতো করে গাইতে থাকে। ভাইয়ের গানের প্রতি আলাদা অনুভূতি আছে অবশেষে তা বুঝতে পারে তার দাদা। ফিকোকে তালিম দেওয়ার জন্য উস্তাদ আবদুল ওয়াহিদ খানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রফি সাহেবের বাবা রাজি ছিলেন না। তিনি ভেবেছিলেন ছেলে কাজ ছাড়লে সংসার চলবে কী করে। শেষ পর্যন্ত ছেলের জেদের কাছে তাকে হার মানতে হয়। তারপরের ঘটনা ইতিহাস।

[জানুয়ারির প্রথমেই মুক্তি পেতে চলেছে পদ্মাবতী!]

ফিকো পরিচিতি পায় মহম্মদ রফি নামে। যে কিংবদন্তি গায়কের গান তার অনুরাগীদের যুগ যুগ ধরে মাতিয়ে রেখেছে। রিমেক, রিমিক্স যুগেও যার গান অনুকরণ করতে হয়। রফি সাহেবের কেরিয়ারে কত পালক। প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি গান। ক্লাসিক্যাল থেকে রোমান্টিক বা রক অ্যান্ড রোল। সবেতেই সাবলীল তিনি। হিন্দি গানে একাধিক মাইলস্টোনের পাশাপাশি ইংরেজি, আরবি, পার্সি, সিংহলি, ডাচের মতো বিদেশি ভাষায় তিনি ছাপ রেখেছেন। ৪০ বছরের সংগীত জীবনে একাধিক আঞ্চলিক ভাষাতেও তাঁর সাক্ষর রয়েছে। ১৯৪১ সালে রফি সাহেবের সুরের দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ। লাহোরে একটি পাঞ্জাবি ছবিতে সোনিয়ে নে, হেরিয়ে নে গেয়ে তিনি প্রতিভার ছাপ রাখেন। ডাক পান মুম্বইয়ে। বাণিজ্যনগরীতে শুরুতে তাঁকে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে। ভেন্ডি বাজার এলাকায় দশ বাই দশ ফুটের ঘরে থেকে শুরু হয় টিকে থাকার লড়াই। বলিউডে প্রথম কাজ পান ‘গাঁও কি গোরি’ ছবিতে। এরপর শুধু এগোনোর পালা।

[‘বাহুবলী’ ম্যানিয়া অব্যাহত, এবার ভোজপুরীতে তৈরি হচ্ছে ‘মহাবলী’]

১৯৬০ সালে গুরু দত্তের চৌধবি কা চাঁদ ছবিতে গেয়ে রফি প্রথমবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। এরপর আরও পাঁচবার দেশের সেরা গায়ক হয়েছিলেন রফি সাহেব। ১৯৬৭ সালে এর স্বীকৃতি হিসাবে পান পদ্মশ্রী। শচীন দেববর্মন, শঙ্কর-জয়কিষেণ, মদন মোহন, ও পি নাইয়ারের মতো সুরকারদের সঙ্গে তার কাজ এখনও অনুরাগীদের মন ভাল করে দেয়। ১৯৪২ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ নায়ক তার কণ্ঠে লিপ দিয়েছেন। কিংবদন্তী এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ডুডলের শিল্পী সাজিদ শেখ জানান মহম্মদ রফি বলিউডে প্লে-ব্যাক সংগীতের রাজা। এদিন ডুডলের তুলে ধরা হয় একটি ছবিকে, যেখানে দেখানো হয় কীভাবে স্টুডিও থেকে স্ক্রিন এবং সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন এই কিংবদন্তি।

The post ফিকো থেকে মহম্মদ রফি, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে শ্রদ্ধা ডুডলের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement