সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন রিপোর্টকে ফের নাকচ করে দিল নয়াদিল্লি। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের ২০২২ সালের রিপোর্টটিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে পালটা তোপ দাগল বিদেশমন্ত্রক। এই প্রথম নয়। এর আগেও ভারতে সংখ্যালঘুদের বিপণ্ণতা সংক্রান্ত মার্কিন রিপোর্টকে উড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিবৃতি পেশ করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেন, ”আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ২০২২ সালের মার্কিন রিপোর্টটি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছিল। দুঃখজনক হল, এই ধরনের রিপোর্টগুলি বারবারই তৈরি হচ্ছে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে। শুধুমাত্র কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাদের দ্বারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য এই রিপোর্টগুলির বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও ক্ষুণ্ণ করে। আমরা আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে গুরুত্ব দিই। এবং আগামিদিনেও উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলি মতামতের আদানপ্রদান জারি রাখব।” আগামী মাসেই মার্কিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সফরের আগে বিদেশমন্ত্রকের এহেন বিবৃতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: দিল্লির আফগান দূতাবাসে জোর করে ঢোকার চেষ্টা তালিবান ‘কূটনীতিকে’র, রুখে দিল কর্মীরাই!]
কী দাবি করা হয়েছিল মার্কিন রিপোর্টে? আসলে সেই রিপোর্টটি ছিল আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত। কিন্তু সেখানেই ঘৃণা-অপরাধ ও রাজনৈতিক নেতাদের সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করে ঘৃণাভাষণের কথা বলতে গিয়ে বিজেপির উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ২৮ বার। স্বাভাবিক ভাবেই এই রিপোর্টকে পালটা আক্রমণ করল মোদি সরকার।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা (Religious freedom) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মার্কিন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন তথা USCIRF। মার্কিন (US) বিদেশ দপ্তরের কাছে তাদের সুপারিশ ছিল, ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক ভারতকে। তাদের অভিযোগ, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতর ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। সেই রিপোর্টকেও উড়িয়ে দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক।