সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স কম, কিন্তু অনেক বেশি বয়সি মানুষের চেয়ে অনেক পরিণত। তাই তো কৈশোরে পা রেখেই সে বুঝতে পেরেছিল সুস্থ, সুন্দর পরিবেশের গুরুত্ব। তাই অন্যরা যখন পড়াশোনা করে ভাল রেজাল্ট করে কেরিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত, সেসময় স্কুল-ক্লাস ছেড়ে দিনরাত সে পরিবেশের (Environment) জন্য লড়েছে। বলছি বিখ্যাত সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের (Greta Thunberg) কথা। নতুন বছরের শুভেচ্ছাতেও গ্রেটার বার্তায় ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রইল পরিবেশ। টুইটারের তার বক্তব্য, এই প্রাণময় গ্রহকে সযত্ন রাখতে লড়াই চলছে, চলবে।
গ্রেটার কীর্তি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। স্কুল কামাই করে সহপাঠীদের নিয়ে সুইডেনের (Sweeden) পার্লামেন্টের সামনে পরিবেশ বাঁচানোর পোস্টার নিয়ে মৌন প্রতিবাদ দেখিয়েছে, রাষ্ট্রনেতাদের দিকে সোজা আঙুল তুলে তাঁদের গাফিলতির কথা বলার সাহস করেছে। এত কম বয়সে তার সক্রিয়তা দেখে রাষ্ট্রসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল গ্রেটাকে। বিশ্ববিখ্যাত TIME ম্যাগাজিন তাকে নিয়ে কভার স্টোরি করেছে। সেরা ব্যক্তিত্বের তালিকায় রেখেছে গ্রেটাকে। যদি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারী চক্ষুশূল গ্রেটা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েছে তারা। এসব কারওই আর অজানা নেই।
[আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই ভোরের আকাশে দেখা যাবে বিরল চতুষ্কোণ উল্কা বৃষ্টি, দাবি নাসা’র]
২০২০র করোনা বর্ষ পেরিয়ে একুশে সকলেই যখন সুস্থ পৃথিবীর প্রার্থনায় মগ্ন, তখন গ্রেটার শুভেচ্ছায় পৃথিবীর জন্য লড়াইয়ের বার্তা। টুইটারে সে লিখেছে, এই বছরটা যেন জেগে ওঠার এবং প্রকৃত পরিবর্তনের বছর হিসেবে উদযাপিত হয়। প্রাণময় গ্রহটির জন্য যে লড়াই চলছে, তা চলবেই। এই লড়াই থামার নয়।
[আরও পড়ুন: যেন ঘুমন্ত প্রাণী! সাইবেরিয়ায় উদ্ধার তুষার যুগের লোমশ গণ্ডার দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা]
কিশোরী পরিবেশকর্মীর এই টুইটবার্তা নিমেষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। প্রচুর রিটুইট হয়েছে। সকলেই গ্রেটাকে তার এমন শুভেচ্ছার জন্য প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে ‘যোদ্ধা’র তকমা দিয়েছেন।