সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যারাথন বৈঠকের পরও জিএসটির ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ মিটল না। তবে, রাতে কিঞ্চিৎ লক্ষ্মীলাভ হল রাজ্যগুলির। জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা বন্টন করল কেন্দ্র। চলতি বছরে কমপেনসেশন সেস হিসাবে কেন্দ্র এই টাকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া যে সমস্ত রাজ্য আইজিএসটি বাবদ কম টাকা পেয়েছে তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। সোমবার জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) ৪২তম বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জিএসটি’র বকেয়া মেটানোর জন্য আগেই যে বিকল্প রাস্তার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল তাতে বিরোধী রাজ্যগুলি সম্মত না হলেও কমপেনশেসন সেসের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব রাজ্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে যারা বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেনি তারা পাবে না। ২০টির মতো রাজ্য বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না।” কেন্দ্রের তরফ থেকে টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও এদিনের বৈঠকের মূল বিষয় ছিল রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি (GST) ক্ষতিপূরণের রাস্তা বার করা। সেই বিষয়ের সমাধান সূত্র এদিনের বৈঠকে অধরাই রয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না! হাথরাস কাণ্ডে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র দেখছেন যোগী]
আসলে, এর আগে জিএসটি ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে রাজ্যগুলিকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল কেন্দ্র। এক, রাজ্যগুলিকে কম সুদে ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হবে। ২০২২ সালের মধ্যে সেই ঋণ শোধ করতে হবে। ঋণশোধের অর্থ সংগ্রহ করতে অতিরিক্ত সেস বসাতে পারবে রাজ্যগুলি। দুই রাজ্যগুলি বকেয়া ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকাই ঋণ নিতে পারবে। এবং ধীরে ধীরে তা পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রাপ্য টাকার পরিবর্তে ঋণের প্রস্তাব মানেনি বিরোধী রাজ্যগুলি। তাঁদের পালটা প্রস্তাব, যদি ঋণই নিতে হয়, তাহলে কেন্দ্র নিক। এবং রাজ্যগুলির টাকা পরিশোধ করুক। সোমবারের দীর্ঘ বৈঠকেও এই বিতর্কের অবসান হয়নি। জট কাটাতে আগামী সোমবার, ১২ তারিখে আবার কাউন্সিলের বৈঠক বসবে।