বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বহু আলাপ-আলোচনার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা জিইয়ে রেখেই গুজরাট নির্বাচনের জন্য অসম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। প্রার্থী করা হল না সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে (Vijay Rupani)। বয়সের কারণের তাঁকে প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বয়সের কারণে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল, সৌরভ প্যাটেল ও ভূপেন্দ্র সিং ছুদসমাকেও প্রার্থী করল না গেরুয়া শিবির। তবে প্রার্থী তালিকায় বড় চমক ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা (Rivaba Jadeja)। তাঁকে জামনগরের সেফ সিট থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া পাটিদার নেতা হার্দিক প্যাটেলকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি।
প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বুধবার দিল্লির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসে দলের সংসদীয় নির্বাচন কমিটি। ছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ (JP Nadda) কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে যোগ দেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল ও রাজ্য সভাপতি সিআর পাটিল। ভোট ঘোষণার পরই পরপর দু’দিন প্রার্থী তালিকা ঠিক করতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন অমিত শাহ। তবে হাজার আলাপ আলোচনার পরও সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার ১৮২ আসনের মধ্যে ১৬০ টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজস্ব ঘাটতির গুঁতো, বাজেটের তুলনায় খরচে কাটছাঁট করছে কেন্দ্র, চাপ একাধিক ক্ষেত্রে]
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল লড়বেন নিজের কেন্দ্র ঘাটলোডিয়া থেকে। সম্প্রতি মোরবির সেতু ভেঙে পরার ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে মোদি-শাহরা কাকে প্রার্থী করেন সেদিকে নজর ছিল সকলের। ১৭ সালের ভোটে আসনটি পায় কংগ্রেস। এবারও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে কান্তিলাল শিবলাল অমর্ত্যকে। মোরবির সেতু দুর্ঘটনার পরই তাঁকে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে হাত লাগাতে দেখা যায়। ফের প্রার্থী করার পিছনে এটাই একমাত্র কারণ বলেই বিজেপি সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: তিনদিন বাদে হাজারের উপরে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ল মৃত্যুও]
১৭ সালের ভোটে ১৮২ আসনের ৯৯টি জিতে কান ঘেষে সরকার দখলে রাখে বিজেপি। যদিও পরে ধাপে ধাপে ১৩জন কংগ্রেস (Congress) ও নির্দল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেয়। তাই প্রার্থী তালিকা থেকে প্রচার কোন কিছুতেই খামতি রাখতে চাইছেন না মোদি-শাহরা। তাই ভোটের কয়েকমাস আগে থেকেই বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করতে দল ভাঙানোর খেলায় নামে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতাকে ভাঙিয়ে আনা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজ্যের নেতৃত্বের আপত্তি খারিজ করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গোল পেকেছে এখানেই। অনেক কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম নিয়ে আপত্তি উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।