সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধাক্কা রাশিয়ার (Russia)। ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধের আবহে রুশবাহিনীর উপর ‘জঙ্গি’ হামলা। অতর্কিত হামলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে হামলাকারী ২ জনকেও খতম করা হয়েছে। মৃতদের নাগরিকত্ব এখও জানা যায়নি। তবে রুশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে এই হামলা ভাবাচ্ছে পুতিন প্রশাসনকে।
RIA সংবাদ সংস্থার দাবি, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সেনা অভিযানে স্বেচ্ছায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন কয়েকজন। ইউক্রেন সীমান্তে তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ চলছিল। সেখানেই অতর্কিতে হামলা চালায় কয়েকজন। মৃত্যু হয় ১১ জনের। পালটা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। খতম হয় ২ হামলাকারী। তারা কোনও দেশের নাগরিক, তা এখনও অজানা।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযানে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ চলাকালীন গুলি চালায় জঙ্গিরা। ছোট বন্দুক ব্যবহার করা হয়। ইতিমঘ্যে এই হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে এই জঙ্গি হামলা নিসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফের বেফাঁস দিলীপ ঘোষ, মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অপমান বিজেপি নেতার]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রাইমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ হয়। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছিল তা এখনও অজানা। তবে রাশিয়া-ইউক্রনের সংঘর্ষের আবহে একের পর এক এধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে রুশ প্রশাসন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরা রাশিয়াকে প্রত্যাঘাত করতেই এধরনের হামলা চালাচ্ছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া অঞ্চল ছিনিয়ে নিয়েছিল মস্কো। ওই অঞ্চলকে রাশিয়ার (Russia-Ukraine War) অংশ বলে ঘোষণাও করা হয়। দক্ষিণ ইউক্রেনের এই অঞ্চলের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি যোগাযোগের জন্য ২০১৮ সালে দুই লেনের ক্রাইমিয়া সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। একটি লেন দিয়ে ট্রেন চলত। অপর লেনে চলত গাড়ি। সেই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর উপর বিস্ফোরণ ঘটে। এবার রুশবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালাল জঙ্গিরা।