সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁস হয়ে গিয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi mosque) চত্বরে ভিডিও সার্ভের সময় তোলা ভিডিও ও ছবি। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা গিয়েছে সেগুলি। ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’-তে (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) পূজার্চনার অনুমতি চাওয়া চার হিন্দু মহিলা। সোমবারই বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সিল করা এনভেলাপ। যার মধ্যে ছিল সার্ভে রিপোর্ট ও মসজিদের ভিতরের অঞ্চলের ছবি। সেই সঙ্গে একটি পেন ড্রাইভ, যাতে ছিল ভিডিও। এরপরই ওই ক্লিপ ও ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় বিতর্কে জড়িয়েছেন ওই চারজন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম থেকেই হিন্দুপক্ষ অস্বীকার করেছে সার্ভের ভিডিও, ছবি ও রিপোর্ট ফাঁস করার অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আজই ওই সিল করা এনভেলাপ আদালতে জমা দেওয়ার কথা চার মহিলার। ভিডিও ক্লিপ ও ছবি তাঁরা মিডিয়াতে ফাঁস করেছেন, এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতেই তা আদালতে জমা করে দিতে চান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার জন্য ১০ হাজার কোটি বরাদ্দ, জমি পেলেই কাজ শুরু’, কলকাতায় দাঁড়িয়ে দাবি রেলমন্ত্রীর]
মনে করা হচ্ছে, আইনজীবীরা আদালতকে জানাবেন যে, সোমবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁদের মক্কেলরা ওই এনভেলাপ হাতে পেয়েছিলেন। এবং তাঁরা আদালত চত্বর ছাড়ার আগেই সন্ধে সাতটা থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করতে থাকে সার্ভের ভিডিও ও ছবির সম্প্রচার। দ্রুত যা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
যদি মুসলিম পক্ষের দাবি, ওই ভিডিও ও ছবি ফাঁস করেছে হিন্দুরাই। কেননা আদালত তাদের কোনও পেন ড্রাইভ দেয়নি। সুতরাং সেটি ফাঁস হতে গেলে হিন্দুদেরই সেই সুযোগ ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। এরপরই সামনে আসে ‘শিবলিঙ্গ’টি। জ্ঞানবাপী মামলাটি নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানা। তবে নমাজপাঠ করতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।