সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মামলায় স্বস্তিতে হিন্দুপক্ষ। ‘শিবলিঙ্গ’র সুরক্ষা সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত শুনানিতে সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, আগেই জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’টির নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই সময় শেষ হচ্ছে ১২ নভেম্বর। তার আগেই ফের সুরক্ষার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে হিন্দুপক্ষ।
আজ সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে ‘শিবলিঙ্গ’টির সুরক্ষার মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে ১২ নভেম্বর। বলে রাখা ভাল, ১৪ অক্টোবর জ্ঞানবাপী মামলায় ধাক্কা খায় হিন্দুপক্ষ। মসজিদের ওজুখানায় পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’র কার্বন ডেটিংয়ের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেয় বারাণসী আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, এমন কোনও পদক্ষেপ করলে তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অবমাননা হবে।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]
২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi) ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে, এই ভিডিও সার্ভেতে আপত্তি তোলেন জ্ঞানবাপীর ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’র সদস্য ও তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি সেটা আসলে একটি ফোয়ারা। গত ২০ মে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওজুখানা ঘিরে রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারপর নিম্ন আদলত থেকে মামলাটি বারাণসী জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেপ্টেম্বরে সেখানে মামলাটির বৈধতা রয়েছে বলে রায় দেয় আদালত।
বলে রাখা ভাল, মসজিদ চত্বরে ‘শিবলিঙ্গে’ পুজোর দাবিতে করা একটি আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে, মসজিদ চত্বরে ওজুখানায় শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করে তার বয়স জানার জন্য ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত মাসে হিন্দুপক্ষের পাঁচজনের মধ্যে চারজন মামলাকারী ফের বারাণসী আদালতে ‘শিবলিঙ্গের’ বয়স জানতে চেয়ে ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন।