সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ভূমিকম্পে প্রচুর প্রাণহানি ঘটবে। আর শেষপর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে হাইতিতে (Haiti) মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপে আটকে আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জোরকদমে উদ্ধারকার্য চলছে।
সংবাদসংস্থা এপি এবং এএফপির খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে রাজধানী পুয়ের্তো প্রিন্সের ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ছোট-বড় সমস্ত বাড়ি চোখের নিমেষে ধুলোয় মিশে যায়। এমনকী অনেকে বাড়ির বাইরে বেরনোর সময়ও পাননি। এর মধ্যেই আবার রবিবার সেখানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল অঁরি জানিয়েছেন, ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে বেশ কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছিল। তারমধ্যে ভূমিকম্পের ঘটনা গোটা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
[আরও পড়ুন: Semen Terror: দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ‘বীর্য সন্ত্রাস’, আতঙ্কে রাস্তায় মেয়েরা]
এদিকে, ইতিমধ্যেই হাইতি সরকারকে অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরো না জানা পর্যন্ত, তারা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার থেকে কোনও রকম আর্থিক সাহায্য চাইবে না। পুয়ের্তো প্রিন্সের এক বাসিন্দা নাওমি ভার্নিয়াস জানিয়েছেন, ‘বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ করে কাঁপতে শুরু করি। বাইরে আসব, সেই সময়টুকু পাইনি। মাথায় ছিল ২০১০ সালের ঘটনার কথা। তাই কোনও রকমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি।’ ঘটনার পরেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভূমিকম্পের ভয়াবহতার ছবি। আর সেই ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই।